জীবনী সাহিত্য
— শ্রীচৈতন্যদেব ও তাঁর কয়েকজন শিষ্যের জীবন কাহিনী নিয়ে মধ্য যুগে জীবনী সাহিত্যের হয়।
সূচনা বৈষ্ণব জীবনী সাহিত্যে রক্ত মাংসের মানুষ সর্বপ্রথম বাংলা সাহিত্যে একক প্রসঙ্গ হয়ে আত্মপ্রকাশ করল। *
আদি কৰি : ১) মুরারী গুপ্ত
(মুরারী গুপ্ত জীবনী সাহিত্যের আদি কবি (সংস্কৃত)। মুরারী গুপ্ত শ্রীচৈতন্যের সহপাঠী ছিলেন। চৈতন্যদেব তাঁর নাম দেন- কবিকর্ণপুর। তিনি সংস্কৃত ভাষায় কাব্য রচনা করেন । মুরারী গুপ্ত কাব্যের নাম – ‘শ্রীশ্রীকৃষ্ণ চৈতন্যচরিতামৃতম’ কাব্যটি ৭৮ সর্গে বিভক্ত। তাঁর কাব্য মুরারী গুপ্তের কড়চা’ নামে পরিচিত।
কড়চা অর্থ- দিনপঞ্জি বা রোজনামচা।
বাংলা ভাষার জীবনী সাহিত্যের কবিরা
(1) বৃন্দাবন দাস – বাংলা ভাষায় জীবনী সাহিত্যের আদি কবি।
জন্ম- আনুমানিক ১৫১৮ খ্রিস্টাব্দ । তাঁর কাব্যের নাম – ‘শ্রীচৈতন্যভাগবত’ । রচনাকাল আনু- ১৫৪৮ খ্রিস্টাব্দ । কাব্যে পক্তি আছে- প্রায় ২৫,০০০ এবং অধ্যায় ১৫টি ।
(২) লোচন দাস – তাঁর কাব্যের নাম : চৈতন্যমঙ্গল‘
(৩) জয়ানন্দ – তাঁর কাব্যের নাম : চৈতন্যমঙ্গল’ ।
(৪) চূড়ামনি দাস – তাঁর কাব্যের নাম : ‘গৌরাঙ্গ বিজয়’ তাঁর কাব্যের অন্যনাম ‘ভুবনমঙ্গলড. সুকুমার সেন এ কাব্যের প্রকাশক ।
(৫) কৃষ্ণদাস কবিরাজ- কাব্যের নাম শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত’ (১৬১৫) (শ্রেষ্ঠ) । তিনি জীবনী সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি ।
(৬) গোবিন্দ দাস – ‘ গোবিন্দদাসের কড়চা‘ চৈতন্যদেবের জীবনী সাহিত্য (‘কড়চা’ নামে অভিহিত হয় ।
জীবনী সাহিত্যের অন্যান্য কবি ও গ্রন্থ
(i) শ্রীহট্ট লাউড়ের রাজা দিব্যসিংহ অদ্বৈতের শিষ্যত্ব গ্রহণপূর্বক সন্ন্যাস গ্রহণ করে নাম করেন- কৃষ্ণদাস । তাঁর গ্রন্থ- ‘বাল্যলীলাসূত্র’ (সংস্কৃত) । অদ্বৈতের বাল্যলীলা অবলম্বনেঅনুবাদ ।
(ii) শ্যামানন্দ- ‘অদ্বৈততত্ত্ব’ বাল্যলীলাসূত্রের বাংলা ধারণ ।
(iii) ঈশান নাগর- ‘অদ্বৈত প্রকাশ’ ।
(ix) হরিচরণ দাস- ‘অদ্বৈত মঙ্গল’ ।
(v) গুরুচরণ দাস- ‘প্রেমামৃত’- শ্রীনিবাস জীবনী ।