রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঃ

১ কবি-কাহিনী (১৮৭৮): প্রথম প্রকাশিত অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত। চার সর্গে বিভক্ত এ কাব্যের নায়ক কবি এবং নায়িকা নলিনী। নলিনীর মৃত্যুর পর নায়ক কবির বিশ্ব প্রেমের উপলব্ধি কাব্যের সমাপ্তি। ধরে নেয়া হয়, কাব্যের নায়ক রবীন্দ্রনাথ নিজেই।.

২ বনফুল (১৮৮০): এটি রবীন্দ্রনাথ রচিত থম কাব্য। কিন্তু প্রকাশের দিক দিয়ে দ্বিতীয়।প্র গ্রন্থাগারে প্রকাশিত হওয়ার ৪ বছর পূর্বে অর্থাৎ ১৫ বছর বয়সে রচনা করেন। এ কাব্যের কবিতাগুলো ১৮৭৬ সালের “জ্ঞানাঙ্কুর ও ‘প্রতিবিম্ব পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। কিন্তু গ্রন্থাকারে

প্রকাশিত হয় ১৮৮০ সালে। তাই ‘বনফুল কে প্রথম কাব্যগ্রন্থ বলা যায় না। যদিও অনেকে এটিকে প্রথম কাব্যগ্রন্থ বলে থাকেন কিন্তু তা সঠিক নয়। 

বনফুল কাব্যের উল্লেখযোগ্য চরিত্র: বিজয়, কমলা, নীরদ, নীরজা।

৩ শেষলেখাঃ  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সর্বশেষ কাব্য ‘শেষলেখা (১৯৪১)। এটি তাঁর মৃত্যুর পরে প্রকাশিত হয়, তাই তিনি এটির নামকরণ করে যেতে পারেননি। এ গ্রস্থের কবিতাগুলো তাঁর জীবনের শেষ সময়কালের লেখা এবং কয়েকটি কবিতা মুখে মুখে রচিত। 

‘তােমার সৃষ্টির পথ’, ‘দুখের আঁধার রাত্রি -প্রভৃতি কবিতায় রয়েছে জীবন সম্বন্ধে দার্শনিক গভীর অনুভূতির প্রকাশ অপরদিকে, অন্যান্য কবিতায় ভাববাদী দর্শনের মধ্যেও ইহজগৎ প্রীতি গভীরভাবে প্রকাশিত।

যেমন-

‘’রূপনারানের কূলে/ জেগে উঠিলাম;

জানিলাম এ জগৎ/ স্বপ্নর নয়।’’

৪ “প্রভাতসঙ্গীত (১৮৮৩); কাব্যগ্রস্থটিতে মোট ২১টি কবিতা আছে। উল্লেখযোগ্য কবিতা: নির্ঝরের স্বপ্লভঙ্গ।

৫ কড়ি ও কোামল (১৮৮৬): তারুণ্যের উচ্ছুলতা, নারীদেহের প্রতি মুন্ধতা ও মৃত্যুর রহস্যময়তার প্রতি আকর্ষণ এ কাব্যের বৈশিষ্ট্য। ৯ ডিসেম্বর, ১৮৮৩ সালে রবীন্দ্রনাথ বিয়ে করলে ১৯ এপ্রিল, ১৮৮৪ সালে জ্যোতিরিন্দ্রনাথের পত্নী প্রায় সমবয়সী বৌঠান কাদম্বরী দেবী আত্মাহত্যা করেন। রবীন্দ্র মনন ও রবীন্দ্র প্রতিভার বিকাশে কাদম্বরী দেবীর অসামান্য অবদান রবীন্দ্রনাথ আমৃত্যু ভুলতে পারেননি। বৌদির আত্মহত্যা জনিত মৃত্যু কবির মনে যে বিরাগের সৃষ্টি করেছিল, তাঁর প্রভাব এ কাব্যগ্রন্থে আছে। উল্লেখযোগ্য কবিতা: চুম্বন, বাহু, চরণ, মাহ।

৬ ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলি (১৮৮৪): ব্রজবুলি ভাষায় রচিত গীতিকাব্য সংকলন। ‘প্রাচীন কাব্য সংগ্রহ গ্রন্থের সম্পাদক অক্ষয়চন্দ্র সরকারের কাছ থেকে টমাস চ্যাটার্টন। নামক জনৈক বালককবির কথা শুনে তিনি কাব্যটি রচনা করেন। উল্লেখ্য, টমাস চ্যাটাটন প্রাচীন কবিদের অনুকরণে মৈথিলি ভাষায় কবিতা লিখতেন। তিনি আধুনিক বাংলা সাহিত্যের একমাত্র পদাবলি সাহিত্যের রচয়িতা। কাব্যটি উৎসর্গ করেন কাদম্বরী দেবীকে।

৭ মানসী’  (১৮৯০): রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরিণত কাব্যকলার অন্যতম প্রতিফলন ‘মানসী। এ কাব্যে বিশাল প্রকৃতির প্রভাব কবির আবেগ-অনুভূতি, চিন্তা-চেতনায়, মেধা-মননে ব্যাপকভাবে ক্রিয়াশীল। কবি নিজেই বলেছেন, ‘নৃতন আবেষ্টনে এই কবিতাগুলি সহসা যেন নবদেহ ধারণ করল। মানসী কাব্যে কবির সঙ্গে যন একজন শিল্পী এসে যোগ দিল কাব্যের কবিতায় একদিকে যেমন রয়েছে অতীত জীবনের পিছুটান আবার অপরদিকে রয়ছে নবযৌবনের কর্ম- উদ্দীপনার প্রখর দীপ্তি। তাই বুদ্ধদেব বসু “মানসী কাব্যকে রবীন্দ্র-কাব্যের অণুবিশ্ব বলেছেন। 

মানসী কাব্যের উল্লেখযাোগ্য কবিতা: ‘নি্ষল কামনা”, ‘দুরন্ত আশা, ‘কুহুধ্চনি, ‘মেঘদূত, অহল্যার প্রতি, ‘আত্মসমর্পণ ইত্যাদি । 

৮ সােনার তরী (১৮৯৪): এ কাব্যগ্রন্থের অধিকাংশ কবিতা পদ্মাবিধৌত পূর্ববঙ্গের পটভূমিতে লেখা, যা তিনি শিলাইদহে ক্ষণস্থায়ী অস্তিত্বের কথা বলেছেন। বিখ্যাত কবিতা ‘সোনার তরী যা মাত্রাবৃত্ত ছন্দ রচিত। এ কাব্যের অন্যান্য কবিতা “নিরুদ্ধেশ যাত্রা, ‘”হিং টিং ছটট। 

৯ “চিত্রা (১৮৯৬): এ কাব্যের কিছু কবিতায় বাস্তবমুখিতা,কিছু কবিতায় নিরুদ্দেশ সৌন্দর্যের অভিসার-এই দুইডিন্নমুখী সুর এ কাব্যের প্রধান বৈশিষ্ট্য। উল্লেখযোগ্য কবিতা: উর্বশী, জীবনদেবতা, দুঃসময়, স্বর্গ হইতে বিদায় ইত্যাদি। 

১০ কথা ও কাহিনী (১৯০০): ‘কথা (১৮৯৯) ও কাহিনী (১৮৯৯) নামে পৃথক দুটি কাব্যের একত্রিত রূপ এ কাব্যটি। কাব্যটির অধিকাংশ কবিতার উত্স উইলিয়াম “রাজস্থান গ্রন্থের কাহিনী। কবিতা: দুই বিঘা জমি, দেবতার গ্রাস, বিসর্জন, গান্ধারীর আবেদন, পূজারিণী ইত্যাদি।

১১ ক্ষণিকা (১৯০০): জীবনের আপাত-তুচ্ছ মুহুর্তগুলির প্রতি গভীর ভালোবাসা, যৌবনের উল্লাস ও চটুলতা এ কাব্যের মূল সুর। উল্লেখযোগ্য কবিতা: ক্ষণিকা, অচেনা, উদাসীন।

১২ স্মরণ (১৯০৩): স্ত্রীর মৃত্যুকে উপলক্ষ করে রবীন্দ্রনাথ এটি রচনা করেন। ১৯০২ সালে (৭ অগ্রহায়ণ, ১৩০৯ বঙ্গাব) রবীন্দ্রনাথের স্ত্রী মূণালিনী দেবী মৃত্যুবরণ করেন।

১৩ “খেয়া (১৯০৬): এ কাব্যের ৫৫টি কবিতার মধ্যে ক্লান্তি ও বিষাদের সুর প্রাধান্য পেয়েছে। উল্লেখযাোগ্য কবিতা: পথের ১৪০০ সাল, বিজয়িনী,  শেষ, বিদায়, আগমন, জাগরণ, শেষ খেয়া, দীঘি এটি জগদীশচন্দ্র বসুকে উৎসর্গ করেন।

১৪ গীতাঞ্জলিঃ  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৭টি গানের সংকলন গীতাঞ্জলি (১৯১০) কাব্য। এ কাব্যের গানগুলি ১৯০৮-১৯০৯ সালের মধ্যে রচিত এবং গ্রন্থাকারে ১৯১০ সালে প্রকাশিত। এ গানগুলাে মুলত কবিতা এবং সহজ ও সরল ভাষায়, সাবলীল ছন্দে রচিত। এ গান জাতীয় কবিতাগুলাোতে ফুটে উঠেছে ঈশ্বরকে না পাওয়ার বেদনা, আত্ম-অহংকার বিসর্জন দিয়ে সহনশীলতা প্রদর্শন, ঈশ্বরের ক্ষণ দর্শনানুভূতি, দীন-হীনদের মাঝে ঈশ্বর কল্পনা, অসীম-সসীমের লীলা ইত্যাদি। এর মূলসুর ঈশ্বর কেন্দ্রিক হলেও তা কোন বিশেষ ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর জন্য নয়। এটি বিশাল প্রকৃতির সৌন্দর্য থেকে উৎসারিত অধ্যাত্মবাদ সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। গীতাঞ্জলি ১৫৭টি গানের মধ্য থেকে ৫৩ টি, গীতিমাল্য ১৬টি, “নৈবেদ্য ১৫ টি ‘ খেয়া ১১ টি শিশু ৩ টি, কল্পনা ১ টি, ‘উৎসর্গ ১টি, ‘স্মরণ ১টি, ‘চৈতালী ১টি এবং ‘অচলায়তন থেকে ১টিসহ মােট ৯টি গ্রন্থের ১০৩টি গান/কবিতার ইংরেজি অনুবাদ Song Offerings নামে নভেম্বর, ১৯১২ সালে ইন্ডিয়া সােসাইটি থেকে প্রকাশিত হয়। Song Offerings এর ভূমিকা লিখেন ইংরেজ কবি W.B Yeats. ‘গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের কিছু গানের ইংরেজি অনুবাদ করে দেন ব্রিটিশ লেখক ও অনুবাদক ব্রাদার জেমস ও জো উইন্টার। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি ইংরেজি অনুবাদ Song Offerings এর জন্য নোবেল পান।


১৫ পলাতকা (১৯১৮): রবীন্দ্রনাথ তাঁর জ্যেষ্ঠ কন্যা মাধুরীলতার অকাল মৃত্যুতে চলচ্চিত্র ধারণ করে রচনা করেন কাব্যটি এ কাব্যে নারী জীবনের সমস্যাগুলো আলোচিত হয়েছে ।

১৬ বলাকা (১৯১৬): ফরাসী দার্শনিক বার্গস-র তত্ত্ব প্রয়ােগ করে তিনি এ কাব্যটি রচনা করেন। এ কাব্যে গতিতত্র প্রকাশ ঘটেছে। এ কাব্যে মােট ৪৫টি কবিতা রয়েছে । বিখ্যাত কবিতা ‘সবুজের অভিযান’, ‘শা-জাহান’, ‘ছবি, শঙ্খ। এটি তিনি উইলিয়াম পিয়ারসনকে উৎসর্গ করেন। মাধুরীলতার অকাল মৃত্যের (মে, ১৯১৮) চালচিত্র ধারণ করে রচনা করেন এ কাব্যটি। এ কাব্যে নারীজীবনের সমসাময়িক সমস্যাণুলি আলাোচিত হয়েছে।

১৭ পূরবীঃ এটি আর্জেন্টিনার কবি ভিক্টোরিয়া  ওকাম্পকে উৎসর্গ করেন এবং ভিক্টোরিয়া ওকাম্পকে

‘বিজয়া নামে অভিহিত করেন

১৮ পুনশ্চ- (1932)– এ কাব্য থেকে তিনি গীতি কবিতা লেখা শুরু করেন। এ কাব্যগ্রন্থের

অন্যতম কবিতা তীর্থযাত্রী টি এস এলিয়টের The journey of the Magi’ কবিতার অনূদিত রূপ । এছাড়াও “বাঁশী’ কবিতাটির ভাবও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর টি.এস এলিয়টের “The Love Song of J. Alfred Prufrock’ থেকে গ্রহণ করেছেন  উল্লেখযােগ্য কবিতা: শেষ চিঠি, ক্যামেলিয়া, সাধারণ মেয়ে।

১৯ আকাশ প্রদীপ (১৯৩৯): এ কাব্যের কবিতায় কবির শৈশবস্মতি এবং জীবন পেয়েছে। এটি উৎসর্গ করেন সুধীন্দ্রনাথ দত্তকে। 

২০ শেষলেখা (১৯৪১): এটি তাঁর শেষ কাব্যগ্রন্থ যা মৃত্যুর পরে প্রকাশিত হয়।

২১ “স্কুলিঙ্গ (১৯৪৫): কবি জীবিতাবস্থায় অনেক ডায়রিতে কয়েকটি লাইন লিখ স্বাক্ষর দিয়েছেন।

 এই কয়েকটি লাইন ছিল এক একটি কবিতা। পরবর্ত “স্ফুলিঙ্গ’ গ্রন্থটিতে এসব কবিতা সংকলন করা হয়।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অন্যান্য কাব্যগ্রন্থঃ

“সন্ধ্যা-সংগীত’ (১৮৮২), ‘মানসী (১৮৯৭), ‘কণিকা (১৮৯৯), ‘কল্পনা (১৯০০), ‘নৈবেদ্য (১৯০১), ‘উৎসর্গ (১৯১৪), “মহুয়া (১৯২৯), পরিশেষ। (১৯৩২), শেষ সপ্তক (১৯৩৫) “শ্যামলী (১৯৩৬),

পত্রপুট (১৯৩৬), সেঁজুতি (১৯৩৮), রোগশয্যায় (3680), “জন্মদিনে (১৯৪১)।

কাজী নজরুল ইসলাম

১ অগ্নিবীণা (1922) – প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ এই কবিতায় মোট 12 টি এতে রয়েছে কবিতার বিখ্যাত কবিতা বিদ্রোহী সাপ্তাহিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয় বিদ্রোহী কবিতাটি অসহযোগ আন্দোলন 1920- 22 প্রেক্ষাপটে লেখা।  অগ্নিবীণা কাব্যের প্রথম কবিতা প্রলয়োল্লাস।  

২ দোলনচাঁপাঃ কাজী নজরুল ইসলাম রাজ বন্দী থাকা অবস্থায় কাব্যটি প্রকাশিত হয় এটি একটি প্রেমের কাব্য তার স্ত্রীর নামে এ কাব্যের নামকরণ করেন এ কাব্যের প্রথম কবিতা আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে । অন্যান্য কবিতার মধ্যে রয়েছে, বেলাশেষ  , পুবের হাওয়া , চোখের চাতক , অবেলার ডাক,  পূজারিণী 

৩ বিষের বাঁশি (1924)– সালে গ্রন্থটি নিষিদ্ধ নিষিদ্ধ হয় তিনি এটি উৎসর্গ করেন এদেশের নারী অধিকার আন্দোলন নবগ্রহ নায়িকা এম রহমানকে 

৪ ভাঙার গানঃ এটি মেদিনীপুর হাসিনাকে উৎসর্গ করেন এটি উৎসর্গ করেন মুজাফফর আহমদ ও কুতুব উদ্দিন আহমেদকে 

৫ চিত্তনামাঃ দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের জীবনী ভিত্তিক গ্রন্থ ইন্দ্রপতন কবিতায় কোভিদ সাথে চিত্তরঞ্জন তুলনা করে কবিতা লিখেন এ কবিতাটি প্রকাশিত হয়েছে মুসলমান কবিতা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন কুরআনে ঘোষিত তোমার মহিমা হতে পয়গম্বর ।

৬ ঝিঙেফুলঃ শিশুতোষ কাব্যগ্রন্থ 

৭ সাত ভাই চম্পাঃ শিশুতোষ কাব্য 

৮ সর্বহারাঃ এর বিখ্যাত কবিতা কান্ডারী হুশিয়ার উৎসর্গ করেন বিরাজা সুন্দরী দেবীকে

৯ সিন্ধু হিন্দোলঃ বিখ্যাত কবিতা দারিদ্র উৎসর্গ করেন হাবিবুল্লাহ বাহার ও শামসুন্নাহার মাহমুদকে 

১০ সঞ্চিতাঃ বিখ্যাত কাব্যের ভাষায় কবিতা সংকলন এতে মোট ৭৮ টি কবিতা ও গান সংকলিত হয়েছে এটি তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে উৎসর্গ করেন উৎসর্গ পত্রে লিখেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শ্রী শ্রী চরণারবিন্দেসু 

১১ চক্রবাকঃ চট্টগ্রামে অবস্থানকালে লেখা অধিকাংশ কমিটিতে স্থান পায় তিনি এটি উৎসর্গ করেন তৎকালীন ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজের অধ্যক্ষ সুরেন্দ্রনাথ মিত্র কে

১২  সন্ধ্যাঃ এর অন্যতম কবিতা চল চল চল 1928 সালে মুসলিম সাহিত্য সমাজ এর দ্বিতীয় বার্ষিক সম্মেলনে যোগদানের জন্য ঢাকায় আসেন তখন সৈয়দ আবুল হোসেনকে সরকারি ভাষা বর্ধমান হাউস (বর্তমান বাংলাদেশে) অবস্থানকালে গানটি রচনা করেন এটি প্রথম নতুনের গান শিরোনামে পত্রিকায় প্রকাশিত হয় এটি উৎসর্গ করেন মাদারীপুরের শান্তি সেনাদেরকে 1972 সালের 13 ই জানুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশের মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে এ কবিতার 21 লাইন বাংলাদেশের রণ সংগীত হিসেবে গ্রহণ করা হয় 

১৩ প্রলয় শিখাঃ এ কাব্যের জন্য কবি 6 মাস কারাভোগ করেন 

১৪ মরুভাস্করঃ এটি হযরত মামুন সালালা সালামের জীবনী ভিত্তিক গ্রন্থ সে সওগাত এ কাব্যের ভূমিকা লেখুন প্রেমেন্দ্র মিত্র 

১৫ সাম্যবাদীঃ কাব্যগ্রন্থের কিছু কবিতা -সাম্যবাদী, ঈশ্বর , মানুষ , বারাঙ্গনা,  কুলি-মজুর,  নারী ।

বিখ্যাত উক্তি- মানুষেরে ঘৃণা করি ওরা কারা কোরান বেদ বাইবেল চুম্বিছে মরি’ মরি’ ও মুখ হইতে কেতাব-গ্রন্থ নাও জোর করে কেড়ে যাহারা আনিল গ্রন্থ-কেতাব সেই মানুষেরে মেরে পূজিছে গ্রন্থ ভন্ডের দল মুর্খরা সব শোন মানুষ এনেছে গ্রন্থ গ্রন্থ আনেনি মানুষ কোন । 

সাম্যবাদী কাব্যগ্রন্থটি কাজী নজরুল ইসলামের অসাধারণ ও মানবতাবাদী গ্রন্থ ।

নজরুল ইসলামের অন্যান্য কাব্যগ্রন্থঃ

ফনিমনসা ,  পুবের হাওয়া,  নির্ঝর , নতুন চাঁদ , সন্ধ্যা,  প্রলয় শিখা  , দোলনচাঁপা , চন্দ্রবিন্দু , সাত ভাই চম্পা , সর্বহারা , ভাঙ্গার গান , ঝড় , ফনি মনোষা , ছায়ানটের হওয়া , চক্রবাক

জসীমউদ্দীনঃ

১ রাখালী (1927)- এটিই তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ । আঠারোটি কবিতার মধ্যে অন্যতম কবিতা কবর এটি কল্লোল প্রকাশিত হবে পত্রিকায় প্রকাশিত হয় । জসিম উদ্দিন কলেজে অধ্যয়নকালে কবর কবিতাটি রচনা করেন। যা কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাধ্যমিক পর্যায়ে পাঠ্য তালিকায় অন্তরভুক্ত হয়।

২ মিলন গান (1921)- এটি তার প্রথম প্রকাশিত কবিতা। মোসলেম ভারত পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

৩ নকশী কাঁথার মাঠঃ এটি কোভিদ শ্রেষ্ঠ কাহিনী কাব্য গাথাকাব্য। এ গ্রন্থের প্রথম অংশে আছে চাষের চাষার ছেলে রুপাই ও পাশের গ্রামের মেয়ের সাজুর প্রথম পরিচয় থেকে অনুরাগ এর বিকাশ ও বিবাহ এবং কয়েক মাসের সুখময় জীবনের গল্প। দ্বিতীয়ভাগে আছে তাদের বিচ্ছেদ গ্রামীণ জীবনের জন্য এবং বৈচিত্র্যহীন ক্লান্ত ক্লান্ত এবং মানুষের সহায়তায় কাব্যের উপকরণ। 1928 সালে ময়মনসিংহ উপজেলা জসীমউদ্দীন ময়মনসিংহ গীতিকা সংগ্রহ করতে আসলে নামক এক ব্যক্তির সাথে তার পরিচয় হয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তিনি এই কাব্য গ্রন্থ রচনা করেন ।ই এম মিলফোর্ড এটিকে Field of the Emboroidery Quilt নামে ইংরেজিতে অনুবাদ করেন। 

৪ সুচয়নীঃ এটি তার নির্বাচিত কবিতার সংকলন সোজন বাদিয়ার ঘাট ।এর কাহিনী কাব্য গাথাকাব্য ইউনেস্কোর উদ্যোগে Gypsy Warf নামে অনূদিত হয়.।

চরিত্র- সুজন, দুলি

৫ এক পয়সার বাঁশি (1956)- কাব্যের বিখ্যাত কবিতা আসমানি। আসমানী একটি বাস্তব চরিত্র ফরিদপুরের সদরের ঈশান গোপালপুর ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামে ।জসীমউদ্দীনের বড় ভাই রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যাপক নুরুল উদ্দিন আহমেদের শশুর বাড়ি বেড়াতে গিয়ে তিনি আসমানী দেখাবে সেখানে বসেই তিনি আসমানী কবিতাটি রচনা করেন। 2012 সালের আসমানী মারা যান ।

জসীমউদ্দীনের অন্যান্য কাব্যগ্রন্থঃ

বালুচর , ধানক্ষেত , রূপবতী, মা যে জননী কান্দে ,  মাটির কান্না , সখিনা । 

শেখ ফয়জুন্নেছা

১ গোরক্ষ বিজয় : ধর্ম বিষয়ক অক্ষান কাব্য

২ জয়নাব চৌতিশা: কারবালার কাহিনী নিয়ে রচিত

৩ গাজী বিজয়’: রংপুরের খোঁট দুয়ারের পীর ইসমাইল গাজীর বিজয় এ কাব্যের মুল বিষয়।

শেখ ফয়জুন্নেছার অন্যান্য কাব্যগ্রন্থঃ

“সত্যপীর’ (১৫৭৫) “সুলতান জমজমা’ (নীতিকথা), রাগনামা’ (সঙ্গীত সম্প্কিত), ‘পদাবলী’। উনিশ শতকে ফয়জুল্লাহ নামে একজন দোভাষী শায়ের ছিলেন। তিনি পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার পাঁচনা জন্মগ্রহণ করেন। তার কাব্যের নাম ‘সত্যপীর’।

সৈয়দ সুলতানের 

নবীবংশ (১৫৮৪): এটি ফারসি “কাসাসুল আস্বিয়া’ কাব্যের অনুসরণে রচিত। এটি দুটি খণ্তে হযরত মুহম্মদ (স.) এর জীবনীকাব্য। এ কাব্যে হিন্দু দেবদেবীর (ব্র্মা, বিষ্ণু, হরি শিব, মহেশ্বর, বামন, রাম, কৃষ্ণ) উল্লেখ থাকলেও ইসলামের মাহাত্য্য বর্ণনাই কবির উদ্দেশ্য ছিল। এ কাব্যের ২য় খপ্ডের নাম ‘রসুল চরিত’। মধ্যযুগে রচিত হযরত মুহম্মদ (স,) এর পূর্ণাঙ্গ জীবনী হিসেবে ‘রসুল চরিতই শ্রেষ্ঠ কাব্য। এ কাব্যের শষাংশে উল্লখ আছে শবে মিরাজের ইতিহাস।

সৈয়দ সুলতানের অন্যান্য কাব্যগ্রন্থঃ

“রসুল বিজয়, “জ্ঞানচৌতিশা”, জয়কুম রাজার লড়াই, ইবলিশনামা “মারফতী গান’, ‘পদাবলি’, ‘ওফাৎ-ই-রসুল’।

দৌলত কাজীঃ 

সীতারাম ও লোরাচন্দাণী

কোরেশী মাগণ ঠাকুরঃ 

চন্দ্রাবতিঃ লোককাহিনী আশ্রিত রোমান্টিক প্রণয়কাব্য

আলাওল 

পদ্মাবতীঃ ইতিহাস আশ্রিত তার প্রথম রচনা, মালিক মোহাম্মদ জয়সীর হিন্দি পাদুমাবত অবলম্বনে রচনা করেন, বিখ্যাত লাইন- তাম্বুল রাতুল হইল অধর পরশে

তোহফা , হপতকায় , সয়ফুলমূলক বদিউজ্জামান  , সিকান্দার নামা , রাগতামালা , শিরীখুরসু

,পদাবলী

আবদুল হাকিম

ইউসুফ জুলেখা, নূরনামা, দররে মজলিস, লালমতি, সয়ফুল মূলক, হানিফার লড়াই, শাহাবুদ্দিন নাম, নসিয়ত নামা, কারবালা ও শহরনামা

ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত 

কবিতা – স্বদেশ, তপসে মাছ, কে বাঙালি মেয়ে, নীলকর, আনারস।

ইপ্রবােধ প্রভাকর’ (১৮৫৮): এটি কবিতার সংকলন।

হিত প্রভাকর’ (১৮৬১): এটি গদ্যে ও পদে্য রচিত বিশেষ 

বধেনু বিকাশ এটি তার মৃত্যুর পরে প্রকাশিত

মাইকেল মধুসূদন দত্ত 

১ বঙ্গভাষাঃ এটিই তার প্রথম সনেট কবিতা। এটি অক্ষরবৃত্ত ছন্দে রচিত। অষ্টম শতকে বিভক্ত কবিতাটিতে কবি বক্তব্য হল মাতৃভাষার প্রতি উপেক্ষা অনুতাপ। এটি প্রথমে নাম ছিল কবি মাতৃভাষা 

২ তিলোত্তমাসম্ভব কাব্যঃ এটি বাংলা সাহিত্যের অমিত্রাক্ষর ছন্দে রচিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ গ্রন্থ মহাভারতের কাহিনী অবলম্বনে রচিত এটি যতীন্দ্রমোহন বাগচী কে উৎসর্গ করেন। .

৩ চতুর্দশপদী কবিতাবলীঃ বাংলা সাহিত্যের প্রথম সনেট সংকলনের 102 টি কবিতা আছে মাইকেলইতালীয় কবি পেত্রাক শেক্সপিয়ার অনুকরণে এগুলো রচনা করেন 

৪ বীরাঙ্গনাঃ বাংলা সাহিত্যের প্রথম পত্র কাব্য অমিত্রাক্ষর দুষ্মন্তের প্রতি শকুন্তলা দশরথের প্রতি কৈকেয়ী সোমের প্রতি তারা উল্লেখযোগ্য পত্র তিনি এটি ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর কে উৎসর্গ করেন। এটি করুণ রসের পত্রকাব্য .

৫ব্রজঙ্গনাঃ এটি প্রথমে নাম ছিল রাধাবিরহ পরবর্তীতে এটি নামকরণ হয় ব্রজঙ্গনা। এটি রাধাকৃষ্ণ বিষায়ক গীতিকাব্য। রাধা কৃষ্ণ বিষায়ক বৈষ্ণব পদাবলির  আধুনিক পরিনতি এই কাব্য ।

৬ মেঘনাথবধ কাব্য (1861)- এটি রামায়ণের কাহিনী অবলম্বনে রচিত অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক প্রভাবে রচিত বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক মহাকাব্য এটি ইংরেজিতে অনুবাদ করেন রাজনারায়ণ বসু এটি উৎসর্গ করেন রাজা প্রধান চরিত্র রাবণ মেঘনাথ লক্ষণের রাম সীতা এটি আসলে বীররসের কাব্য এটিমেঘনাদবধ কাব্যের সর্গ নয়টি 

৭ হেক্টরবধঃ হোমারের ইলিয়াড এর বঙ্গানুবাদ এটি অসমাপ্ত ভাবে প্রকাশিত হয় এটি ভূদেব মুখোপাধ্যায় কে উৎসর্গ করেন 

৮ ভিশন অফ দা ফাস্টঃ এটি ইংরেজিতে রচিত কাব্য 

দীনবন্ধু মিত্র 

১ সুরধনী কাব্যঃ

২ দ্বাদশ কবিতাঃ কাব্য হিমালয় থেকে গঙ্গা দেবীর গ্রহে যাত্রার ছন্দবদ্ধ গণনা উপস্থিত হয়েছে 

বিহারীলাল চক্রবর্তী 

১ বঙ্গসুন্দরীঃ এটিই তার প্রথম সার্থক গীতিকবিতা। গ্রন্থ বিখ্যাত উক্তি- ‘’সর্বদা হু হু করে মন বিশ্বজনমত চারিদিকে ঝালাপালা ও কি জ্বালাতন জ্বালা অগ্নিকুন্ডের পতঙ্গ পতন’’

২  সাধের আসনঃ সারদামঙ্গল কাব্যের বৈশিষ্ট্য সাধের আসন বিহারীলালের সারদামঙ্গল কাব্য করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বৌদি কাদম্বরী দেবী নিজের হাতে একটা আসনগুলিতে উপহার দিয়েছিলেন আসনের উপরে প্রশ্নচ্ছলে কার্পেটের অক্ষরে লেখা ছিল সারদামঙ্গল কাব্যের কয়েকটা লাইন এর উত্তরে কবি রচনা করেন এই কাব্য কাদম্বরী দেবীর উপহারের কথা স্মরণ করেই বিহারীলালের কাব্যের নামকরণ করেন সাধের আসন।  

বিহারীলাল চক্রবর্তীর অন্যান্য কাব্যগ্রন্থঃ

স্বপ্নদর্শন ,  নিসর্গ সন্দর্শন,  প্রেম বাহিনী , সারদামঙ্গল , নিসর্গ সংগীত ,  মায়া দেবী ,  বাউল বিংশতি , ধুমকেতু 

হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় 

১ চিন্তাতরঙ্গিনী (1861)- এটি কার রচিত প্রথম কাব্য এই কাব্যে প্রতিবেশী বন্ধুর আত্মহত্যার ঘটনা অবলম্বনে রচিত 

২ নলিনী বসন্তঃ এটি শেক্সপিয়ারের দ্য টেম্পেস্ট অবলম্বনে রচিত 

৩ ছায়াময়ীঃ এটি দান্তের ডিভাইন কমেডি অনুসারে রচিত 

৪ বৃত্রসংহারঃ হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত দুই খণ্ডে বিভক্ত জনপ্রিয় আখ্যানকাব্য বৃত্রসংহার মহাকাব্য হিসেবে পরিচিত ।হিন্দু জাতীয়তাবাদ প্রকাশে হিন্দু পৌরাণিক কাহিনী অবলম্বনে তিনি এ কাব্য রচনা করেন । বিচারপতি স্বর্গ বিজয় এবং দেবরাজ ইন্দ্রের অধিকার স্থাপন ও বৃত্রাসুরের নিধনের কাব্যের মূল বিষয় । 

হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যান্য কাব্যগ্রন্থঃ বীরবাহু , কবিতাবলী , আকাশ কানন, দশ মহাবিদ্যা 

হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যান্য কবিতা– জীবন সঙ্গীত (এর লংফেলো অনুবাদ ), ভারত সংগীত , ভারত বিলাপ , গঙ্গার উৎপত্তি , পদ্মের মৃণাল,  ভারত কাহিনী , অশোকতরু,  কুলীন কন্যাগনের আক্ষেপ ।

কায়কোবাদ

১ মহাশ্মশান (1904)- পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধ অবলম্বনে রচিত। চরিত্র- ইব্রাহিম কার্দি ,জোহরা 

২ বিরহ বিলাপ (1870)- এটি প্রথম কাব্যগ্রন্থ যা মাত্র 12 বছর বয়সে রচনা করেন

৩ অশ্রুমালাঃ একটি গীতিকাব্য ।অশ্রুমালা কাব্যগ্রন্থের কিছু কবিতা- শ্মশান সঙ্গীত , সিরাজ সমাধি মোসলেম শ্মশান,  নিরব রোদন,  উদাসীন প্রেমিক।

বিখ্যাত উক্তি- ‘’ইচ্ছে হয় তারে নিয়ে বনবাসী হই/ চাইলে লোকালয়/ এই যে বড় বিষময়।’’

৪ মহরম শরীফঃ কাব্য রচিত বড় আকারের একটি কাহিনী কাব্য কুসুমকানন শিবমন্দির অমিয় ধারা শ্মশান ভস্ম কায়কোবাদের বিখ্যাত কবিতা আজান 

প্রমথ চৌধুরী –সনেট পঞ্চাশৎ, পদচারণ 

সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত 

১ মৌলিক কাব্য -সবিতা, সন্ধিক্ষণ, বেণু ও বীণা , ফুলের ফসল ,  কুহু ও কেকা , তুলির  লিখন, হসন্তিকা,  বেলাশেষের গান, বিদায় আরতি,  

২ অনূদিত কাব্য-  তীর্থ রেনু , মণিমঞ্জুষা , তীর্থ সলিল 

তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় 

ত্রিপত্রঃ এর মাধ্যমে তাঁর সাহিত্য সাধনার হাতঘড়ি 

জীবনানন্দ দাশ 

১ ঝরা পালকঃ এটি তার প্রথম প্রকাশিত কাব্য। এটি প্রকাশিত হয় 1927 সালে এ কাব্য রচনায় তিনি রবীন্দ্রনাথ নজরুল সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত কে অনুসরণ করেন। এই কাব্যগ্রন্থ মোট ৩৫ কবিতা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

২ ধূসর পান্ডুলিপিঃ বিখ্যাত কবিতা- মৃত্যুর আগে। এটি বুদ্ধদেব বসুর কবিতা সাহিত্য পত্রিকায় প্রথম সংখ্যাটি ছাপা হয়। এই কবিতাটি পাঠ করে রবীন্দ্রনাথ বুদ্ধদেব বসুর লেখা একটি চিঠি চিত্ররূপময় বলে মন্তব্য করেন ।কবিতার সাথে ডব্লিউ বি ইয়েটস এর দা ফলিং কবিতার মিল আছে ।

৩  বনলতা সেনঃ ৩০ টি কবিতা সমন্বয়ে এটি রচনা করেন। ভারতীয় পুরাণের অন্তর্ভুক্ত বিষয় (যেমন বিদিশা শ্রাবস্তী উঠে এসেছে, তেমনি বেতের ফলের মতো বা পাখির নীড়ের মতো চোখ ইত্যাদি) উপমাগুলো সার্থক প্রয়োগ ঘটিয়েছেন এ কাব্যে। প্রেম ও প্রকৃতি খন্ড জীবন হতাশা ক্লান্তি ও অবসাদ ইতিহাসের অনুভূতি এবং বর্তমানের ছিন্নভিন্ন অস্তিত্ব সবকিছুর ঘটিয়েছেন তিনি এ কাব্যে ।এতি এডগর এলেন পো এর টু হেলেন অনুকরণে লেখা।

৪ রূপসী বাংলাঃ কবির ম্রিত্তুর পরে কাব্যের পান্ডুলিপি আবিষ্কৃত হয়। তিনি এরপর তাদের নাম রেখেছিলেন বাংলার ত্রস্ত নীলিমা। কিন্তু প্রকাশের পরে এর নাম করা হয় রূপসী বাংলা কাব্যে বাংলার গ্রাম প্রকৃতির নদী-নালা পশুপাখি উৎসব-অনুষ্ঠান ফুটে উঠেছে এটি তার তৃতীয় নিসর্গ তার পরিচয় কাব্য। আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়ি নদীর তীরে কাব্যের বিখ্যাত উক্তি ।

জীবনানন্দ দাশের অন্যান্য কাব্যগ্রন্থঃ

মহাপৃথিবী, সাতটি তারার তিমির , বেলা অবেলা কালবেলা 

অমিও চক্রবর্তী 

একমুঠোঃ বিশ শতকের বিজ্ঞানের যুগে মানুষের ব্যবহারিক যেমন জটিলতা বাড়ছে তেমনি মানুষের মনোজাগতিক চিন্তাও বাড়ছে কোন জটিলতা এই কবিতায় কাব্যে সময় বিবেচনায় এনে মানব-মানবী অন্তর্গত সমস্যা তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন ।

অমিও চক্রবর্তীর অন্যান্য কাব্যগ্রন্থঃ

কবিতাবলী ,  উপহার  ,মাটির দেয়াল ,  অভিজ্ঞান বসন্ত , পালাবদল , ঘরে ফেরার দিন , হারানো অর্কিড , পুষ্পিত ইমেজ,  অনিঃশেষ 

সুধীন্দ্রনাথ দত্ত 

১ তন্বীঃ তাঁর প্রকাশিত প্রথম কাব্য যা তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কে উৎসর্গ করেন ।সেখানে তিনি বলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শ্রীচরনে অর্ঘ্য ঋণ শোধের জন্য নয় ঋণ শিকারের জন্য ।

২ অরকেস্টাঃ এ কাব্যের কবিতা প্রেমের তার সর্বত্র দেখা যায় যেমন -একটি কথার দ্বিধা থরথর চূড়ে ভর করেছিল সাতটি অমরাবতী 

৩ ক্রন্দসীঃ এর বিখ্যাত কবিতা- উটপাখি অন্ধ হলে কি প্রলয় বন্ধ থাকে ।

সুধীন্দ্রনাথ দত্তের অন্যান্য কাব্যগ্রন্থঃ

প্রতিধ্বনি,  ইউরোপের বিভিন্ন কবিতার অনুবাদ , উত্তর , ফাল্গুনী , সংবাদ প্রতিদিন,  দশমী

প্রেমেন্দ্র মিত্র 

প্রথমাঃ এটি তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতার বই

প্রেমেন্দ্র মিত্রের অন্যান্য কাব্যগ্রন্থঃ 

সম্রাট, ফেরারী ফৌজ ,  সাগর থেকে ফেরা , হরিণ চিতা চিল , কখনো মেঘ 

বন্দে আলী মিয়া 

ময়নামতির চর , অনুরাগ , পদ্মা নদীর চর,  মধুমতি চর , ধরিত্রী 

বুদ্ধদেব বসু 

কঙ্কাবতীঃ এই কাব্যের কবিতার বিষয় হচ্ছে প্রেম

বুদ্ধদেব বসুর অন্যান্য কাব্যগ্রন্থঃ  

মর্মবাণী , বন্দীর বন্দনা , দময়ন্তী , নরকের গান , একদিন চিরদিন , স্বাগত বিদায় 

বিষ্ণু দে

১ উর্বশী ও আর্টেমিসঃ সনাতন রোমান্টিক রোমান্টিকতার বিরোধীদের প্রথম কাব্যগ্রন্থ সেটি তিনি ঐতিহ্য সচেতন ছিলেন বলে দেশি-বিদেশি চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে আর্টেমিস চিত্রকল্পের সাথে উর্ভাশি চিত্রকল্প পাশাপাশি স্থান দিয়েছেন 

বিষ্ণু দের অন্যান্য কাব্যগ্রন্থঃ

চোরাবালি,  সাত ভাই চম্পা , সন্দীপের , তোর নাম রেখেছি  ,কোমল গান্ধার  , তুমি শুধু পঁচিশে বৈশাখ স্মৃতি,  সেই অন্ধকার চাই , রবি নির্দেশে,  দিবানিশি , চিত্ররূপময়  ,পৃথিবী  ,উত্তরে থাক্‌  মৌন আমার হৃদয়ে বাঁচো 

সুফিয়া কামাল 

১ বাসন্তীঃ এটিই তার প্রথম কবিতা যা সওগাত পত্রিকায় প্রকাশিত হয় ।

২ শাজের মায়াঃ এটিই তার প্রথম রচিত কাব্যগ্রন্থ। কাজী নজরুল ইসলাম মুখবন্ধ লেখেন। এটি রুশ ভাষায় সভিয়েত থেকে প্রকাশিত হয়। 

৩ মোর জাদুদের সমাধি পরেঃ এ কাব্যের কবিতা গুলো মুক্তিযুদ্ধের সময় কালে লেখা 

সুফিয়া কামালের অন্যান্য কাব্যগ্রন্থঃ

মায়া কাজল, মন ও  জীবন,  শান্তি ও প্রার্থনা , উদাত্ত পৃথিবী,  অভিযাত্রিক , মৃত্তিকার ঘ্রাণ

আহসান হাবীব 

১ রাত্রিশেষঃ এতে গ্রাম-নগর উভয় কেন্দ্রিক কবিতা বিদ্যমান কবিতায় বাঙ্গের মাধ্যমে বস্তুর বস্তুনিষ্ঠ ও বাস্তব জীবনে ফুটে উঠেছে 

২ ছায়াহরিণঃ কাব্যের ঐতিহাসিক সভ্যতার রুদ্ররূপ দেখিয়েছেন 

৩ সারাদুপুরঃ আহসান হাবীবের শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ

আহসান হাবীবের অন্যান্য কাব্যগ্রন্থঃ 

আশায় বসতি, মেঘ বলে চৈত্রে যাব , দুই হাতে দুই আদিম পাথর ,  প্রেমের কবিতা,  বিদীর্ণ দর্পণে , মুখ 

ফররুখ আহমদ

 ১ সাত সাগরের মাঝি (1944) -1902 কবিতা সমন্বয়ে রচিত হয়েছে বাংলা প্রচলিত শব্দ পরিত্যাগ করে কবি বহু অপ্রচলিত আরবি-ফারসি শব্দ গ্রহণ করেছেন। ইসলামের ইতিহাস ঐতিহ্য কাব্যের মুল সুর।  উল্লেখযোগ্য কবিতা- সাত সাগরের মাঝি ও পাঞ্জেরী 

২ নউফেল ও হাতেমঃ এটি কাব্যনাট্য।

৩ হাতেমতায়িঃ  একটি কাহিনীকাব্য ।

৪ মুহূর্তের কবিতাঃ সনেট সংকলন

ফররুখ আহমদের অন্যান্য কাব্যগ্রন্থঃ 

সিরাজুম মুনিরা, হাবেদা মরুর কাহিনী ,  সিন্দাবাদ

ফররুখ আহমদএর কবিতা-

উপহারঃ এ কবিতাটি তিনি নিজের বিবেক কে লিখেন পরবর্তীতে এটি সওগাত পত্রিকায় প্রকাশিত হয় 

সঞ্চারিণীঃ এই কবিতাটি তিনি আল্লামা ইকবাল স্মরণে লিখেন

পাঞ্জেরীঃ শব্দের বাংলা অর্থ জাহাজের অগ্রভাগে রক্ষিত পরিদর্শক  আলোকবর্তিকা যা  তিনি রূপক অর্থে ব্যবহার করেছেন। ইংরেজ শাসনের যাঁতাকলে পিষ্ট ভারতবর্ষের স্বাধীনতা আন্দোলনে নেতৃত্ব দানে থাকে পাঞ্জেরী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।  পাঞ্জেরী কবিতাটি মাত্রাবৃত্ত ছন্দে রচিত ।

সৈয়দ আলী আহসান

অনেক আকাশ,  একক সন্ধ্যায় বসন্ত , সহসা সচকিত,  আমার প্রতিদিনের শব্দ উচ্চারণ,  সমুদ্রে যাবো , রজনীগন্ধা প্রেম,  যেখানে সর্বস্ব 

সুকান্ত ভট্টাচার্য 

১ ছাড়পত্রঃ এটি কবির মৃত্যু তিন মাস পর প্রকাশিত হয়। এই কাব্যের অন্যতম কবিতা ছাড়পত্র ও আঠারো মাস বয়স । মানুষের জীবন যন্ত্রণা বিদ্রোহ বৈষম্যের প্রতিবাদে কাব্যের প্রধান বিষয়বস্তু 

আকাল পঞ্চাশের মন্বন্তরের কবিতাগুলো এই কাব্যগ্রন্থের স্থান পেয়েছে।  এটি তার জীবিত অবস্থায় প্রকাশিত  একমাত্র কাব্যগ্রন্থ 

সুকান্ত ভট্টাচার্য এর অন্যান্য কাব্যগ্রন্থঃ পূর্বাভাস, অভিযান হরতাল ,  গীতিগুচ্ছ 

শামসুর রহমান

১ প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগেঃ এটি তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ 

২ বন্দী শিবির থেকেঃ কাব্যে স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন আবেগ প্রত্যাশা পেয়েছে। এই গ্রন্থের 38 টি কবিতার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা, স্বাধীনতা তুমি 

৩ বাংলাদেশ স্বপ্ন দ্যাখেঃ 1975 সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিপথগামী কিছু সৈনিকের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা নির্মাণের প্রত্যাশা এবং চিত্র রচনায় কাব্যের কবিতাগুলো 

৪ উদ্ভট উটের পিঠে চলেছে স্বদেশঃ 1975 সাল পর্যন্ত দেশের সামরিক অভ্যুত্থান এবং সামরিক শাসনের যুদ্ধ যুদ্ধ করে দেশ ও জনগণের মতের প্রতিফলন এসেছে এই ক্যাবে। 

শামসুর রহমানের অন্যান্য কাব্যগ্রন্থঃ

রৌদ্র করটিতে , বিধ্বস্ত নীলিমা,  নিজ বাসভূমে , মুখোমুখি ,  ফিরিয়ে নাও ঘাতক কাঁটা, আদিগন্ত নগ্ন পদধ্বনি,  এক ধরনের অহংকার , আমি অনাহারী , শূন্যতার শোকসভা , প্রতিদিন ঘরহীন ঘরে , প্রেমের কবিতা , ইকারুসের আকাশ,  এক ফোঁটা কেমন অনল , বুক তার বাংলাদেশের হৃদয়,  হরিণের হাড়,  তুমি নিঃশ্বাস তুমি হৃদস্পন্দন , হেমন্ত সন্ধ্যায় কিছুকাল , না বাস্তব না দুঃস্বপ্ন। 

আলাউদ্দিন আল আজাদ

১ মানচিত্রঃ কাব্যের বিখ্যাত কবিতা স্মৃতিস্তম্ভ (স্মৃতির মিনার ভেঙেছে তোমার/ ভয় কি বন্ধু) 26 ফেব্রুয়ারি 1952 সালের পাকিস্তানি পুলিশকর্তৃক শহীদ মিনার ভেঙে ফেলার প্রতিবাদে তিনি রচনা করেন 1953 সালে প্রকাশিত হাসান হাফিজুর রহমানের ভাষা আন্দোলন ভিত্তিক একুশে ফেব্রুয়ারি সংকলন স্মৃতিস্তম্ভ কবিতা টি স্থান পায় ।

আলাউদ্দিন আল আজাদের অন্যান্য কাব্যগ্রন্থঃ

ভোরের নদীর মোহনায় জাগরণ, লেলিহান পান্ডুলিপি , সাজঘর 

হাসান হাফিজুর রহমান 

১ বিমুখ প্রান্তরঃ এটি তাঁর প্রকাশিত প্রথম কাব্য। অমর একুশে কাব্যের বিখ্যাত কবিতা

২ যখন উদ্যত সঙ্গীনঃ এটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কাব্য 

হাসান হাফিজুর রহমানের অন্যান্য কাব্যগ্রন্থঃ 

আর্ত শব্দাবলী,  অন্তিম শহরের মতো,  শোকার্ত তরবারি,  ভবিষ্যতের বাণিজ্য তরী 

আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ 

১ সনাতনী হারঃ এটি তার প্রথম কাব্য।

২ আমি কিংবদন্তির কথা বলছিঃ এই কাব্যের কিছু বিখ্যাত কবিতা- আমি কিংবদন্তির কথা বলছি ,কোন এক মাকে (কুমড়ো ফুলে ফুলে নুয়ে পড়েছে লতাটা),

৩ মাগো ওরা বলেঃ এই কাব্যে মোট 39 টি কবিতা স্থান পেয়েছে । বাঙালি জাতিসত্তা ভিত্তি করে কাব্যগ্রন্থের কবি ঐক্যবদ্ধ চেতনা সাহসী মানুষের সোনার ছবি এঁকেছেন।  

আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর অন্যান্য কাব্যগ্রন্থঃ

কখনো রং কখনো সুর,  কমলের চোখ,  সহিষ্ণু প্রতীক্ষা,  বৃষ্টি ও সাহসী পুরুষের জন্য প্রার্থনা , আমার সময় , নির্বাচিত কবিতা , আমার সকল কথা , মসৃণ কৃষ্ণ গোলাপ 

আল মাহমুদ

১ লোকান্তরঃ এটি তার প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ

২ সোনালী কাবিনঃ এটির প্রথমে নাম ছিল অবগাহনের শব্দ। গ্রামীণ আবহের 44 কবিতা রয়েছে। এটি তার শ্রেষ্ঠ কাব্যগ্রন্থ। কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদ গোল্ডেন কাবিন নামের যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত হয় 

আল মাহমুদের অন্যান্য কাব্যগ্রন্থঃ 

কালের কলস,  মায়াবী পর্দা দুলে ওঠো , অদৃষ্টবাদীদের রান্নাবান্না , পাখির কাছে ফুলের কাছে,  বক্তিয়ার ঘোড়া , দোয়েল ও দয়িতা, প্রেমের কবিতা , দ্বিতীয় ভাঙ্গন 

শহীদ কাদরী 

উত্তরাধিকারঃ কাব্যে মোট 40 টি কবিতা অন্তর্ভুক্ত করেছে ।এই কাব্যের মাধ্যমে বাংলা কবিতা সত্যিকার অর্থেই আধুনিকতার চূড়ান্ত হয় ।

কাব্যের বিখ্যাত কবিতা- বৃষ্টি বৃষ্টিতে,  তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা , কোথাও কোনো ক্রন্দন নেই , আমার চুম্বনগুলো পৌঁছে দাও 

আহমদ ছফা 

কবিতা- জল্লাদ সময়,  দুঃখের দিনের দোহা , একটি প্রবীণ বটের কাছে প্রার্থনা,  লেলিন ঘুমোবে এবার 

আবদুল মান্নান সৈয়দ

জন্মান্ধ  কবিতাগুচ্ছ , জ্যোৎস্না রৌদ্রের চিকিৎসা,  ও সংবেদন ও জলতরঙ্গ,  কবিতা কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড,  স্ট্রিটে একরাত্রি,  পরাবাস্তব কবিতা,  সকল প্রশংসা তার, মাছ সিরিজ,  নীরবতা গভীরতা দুই বোন বলে কথা 

নির্মলেন্দু গুণ

১ প্রেমাংশুর রক্ত চাইঃ এটি তার প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ 

২ ইসক্রাঃ এ কাব্যে তার রাজনৈতিক কবিতাগুলি স্থান পেয়েছে 

৩ না প্রেমিক না বিপ্লবীঃ কবিতা অমীমাংসিত রমণী দীর্ঘ দিবস দীর্ঘ রজনী চৈত্রের ভালোবাসা ও বন্ধু আমার আনন্দ কসম বাংলার মাটি বাংলার জল তার আগে চাই সমাজতন্ত্র চাষাভুষার কাব্য পৃথিবী জোড়া গান দূর হ শয়তান মুজিব-লেনিন-ইন্দিরা শান্তির ডিগ্রি প্রথম দিনের সূর্য নেই কেন সেই পাখি নিরঞ্জনের পৃথিবী চিরকালের বাঁশি দুঃখ করো না বাঁচো পরিণতি অনন্ত বিপি আনন্দ উদ্যান শেয়ারে বাংলাদেশ ইয়াহিয়া কাল মুঠোফোনের কাব্য চির অনাবৃতা হে নগ্নতা নিশিকাব্য কামকানন 

আবুল হাসান রাজাঃ যায় রাজা আসে, যে তুমি হরণ করো ,  পৃথক পালঙ্ক 

হুমায়ুন আজাদ 

১ অলৌকিক ইস্টিমারঃ এটি তার প্রথম প্রকাশিত কাব্য।  তিনি এটি 1968 -72 এর প্রতিটি রাতে দিনগুলো উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেন সবকিছু 

২ নষ্টদের অধিকারে যাবেঃ তিনি এ কাব্যটি হুমায়ূন আহমেদ ইমদাদুল হক মিলন কে উৎসাহিত করেন কাফনে মোড়া অশ্রুবিন্দু ।কাব্যটি তার প্রিয় মৃতদের জন্য উৎসর্গ করেন।  

হুমায়ুন আজাদের অন্যান্য কাব্যগ্রন্থঃ

জ্বালো চিতাবাঘ, যতই গভীরে যাই মধু যতই উপরে যাই নী্‌ল ,আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে, পেরোনোর কিছু নেই 

রুদ্র মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ

উপদ্রুত উপকূল ,  ফিরে চাই স্বর্ণগ্রাম, মানুষের মানচিত্র ,  বল গল্প , মৌলিক মুখোশ 

অন্যান্য কাব্যিকঃ

সুকুমার রায়- আবোল তাবোল, হ-য-ব-র-ল  , খাই খাই

শহীদ কাদরীর -উত্তরাধিকার, তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা

বিষ্ণু দে- উরবাসি ও আর টমিস, চোরাবালি ,  সাত ভাই চম্পা

দাউদ হায়দার -জন্মই আমার আজন্ম পাপ , নরকিয় ভুবনে , কবিতা , আমি ভালো আছি তুমি

নবীনচন্দ্র সেন- পলাশীর যুদ্ধ 

আব্দুল কাদির- দিলরুবা ,উত্তর বসন্ত 

প্রেমেন্দ্র মিত্র- প্রথমা 

হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় -চিন্তাতরঙ্গিনী 

সমর সেন- কয়েকটি কবিতা 

সুরেন্দ্রনাথ মজুমদার- মহিলা 

দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর- স্বপ্ন প্রয়ান

চণ্ডীদাস – শ্রীকৃষ্ণকীর্তন

বিদ্যাপতিঃ 

কীর্তিলতা’, “কীর্তিপতাকা, “পুরুষপরীক্ষা’, “শৈবসর্বস্বসার,”গঙ্গাবাক্যাবলী’,”লিখনাবলী’, ‘ভাগবত”, “দুর্গাভক্তিতরঙ্গিণী”,

বিদ্যাপতির উক্তিঃ

‘এ সখি হামারি দুঃখের নাহি ওর।

এ ভরা বাদর

শূন্য মন্দির মাের।

চন্দ্রাবতী -রামায়ণ (অনূদিত), মলুয়া, দস্যি কেনারামের পালা

দৌলত উজির বাহরাম খা – জঙ্গর্নামা বা মক্তুল হোসেন: কারবালার কাহিনী অবলম্বনে রচিত। 

লায়লি মজনু , ইমাম বিজয়

জ্ঞান দাস –মাথুর ও মুরলীশিক্ষা

Write Reply...