ছোটগল্পের উদ্ভব ও বিকাশ
গদ্যে রচিত সাহিত্যের সর্বকনিষ্ঠ যে শাখায় একমুখীন ছোট আকারের কাহিনীতে গভীর । বেদনার ছবি দু’চারটে ঘটনার ইঙ্গিতধর্মী বর্ণনায় তত্ত্ব উপদেশহীনভাবে অতৃপ্ত অন্তরকে বিমূঢ় করে আকস্মিকতায় শেষ হয়, তাকেই ছোটগল্প বলে ।
বাংলা সাহিত্যে স্বর্ণকুমারী দেবী প্রথম সচেতন ছোটগল্প রচয়িতা। তবে ছোট গল্প রচনায় তিনি | সার্থকতা লাভ করতে পারেন নি । তাঁর গল্প গ্রন্থের নাম ‘নবকাহিনী ।
ছোটগল্পের প্রাথমিক পর্বে ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় স্বতন্ত্র প্রতিভার পরিচয় দিয়েছেন । তাঁর ‘ভূত ও মানুষ’ ‘মুক্তামালা’, ‘মজার গল্প’, ‘ডমরুচরিত্র’ গ্রন্থ গুলোতে গল্পের বৈশিষ্ট্য পাওয়া গেলেও স্বার্থকতা লাভ করেনি ।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (১৬১-১৮৪১)
বাংলা সাহিত্যের প্রথম স্বার্থক ছোট গল্পকার ও বাংলা ছোটগল্পের জনক । তাঁর প্রথম ছোটগল্প ‘ভিখারিণী’ ভারতী পত্রিকায় ১৮৭৪ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয় । ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে হিতবাদী’ পত্রিকায় প্রকাশিত ‘দেনাপাওনা’ বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ছোটগল্প ।
Note- তাঁর গল্প বিস্তারিতভাবে সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিকদের পরিচিতি চ্যাপ্টারের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore) অংশে দেওয়া আছে ।
প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় (১৮৭৩ ১৯৩২)
নবকথা, ষোড়শী, গল্পাঞ্জলি, জামাতা বাবাজি, গহনার বাক্স, হতাশ প্রেমিক, বিলাসিনী, যুবকের প্রেম, নতুন জামাই ।
কেদারনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৬৩-১৯৪৯)
গল্পগ্রন্থ- আমরা কি ও কে, কবুলতি, পাথেয়, দুঃখের দেওয়ালী, মা ফলেষু, সন্ধ্যা শঙ্খ, নমস্কারী ।
চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৭৭-১৯৩৮)
গ্রন্থ- পুষ্পপত্র, ধূপছায়া, বরণডালা, চাঁদম মণিমঞ্জরী
বিভূতিভূষণ মুখোপাধ্যায় (১৮৯৬-১৯৮৭)
চৈতালী, লাজবতী, হাসি ও আনন্দপট, কবি ও অকবি, শারদীয়া, বসন্তে, বরযাত্রী, রানুর কথামালা, রানুর প্রথম রানুর দ্বিতীয় ভাগ, কন্যা সুশ্রী স্বাস্থ্যবতী এবং
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৯৪-১৯৫০)
মেঘমল্লার, কিন্নর দল, বিধু মাস্টার নবাগত, অসাধারণ, মৌরীফুল, যাত্রাবদল, রূপ হলুদ, জন্ম ও মৃত্যু, ছায়াছবি।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯০৮-১৯৫৬)
অতসী মামী ও অন্যান্য গল্প, প্রাগৈতিহাসিক মিহি ও মোটা কাহিনী, ভেজাল, আজকাল পরশুর গল্প। সরীসৃপ, সমুদ্রের স্বাদ ফেরিওয়ালা, ভেজাল, হলুদ পোড়া, বৌ, ছোট বকুলপুরের যাত্রী, পাশ-ফেল
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৭৬-১৯৩৮)
মন্দির, মহেশ, বিলাসী, বিন্দুর ছেলে, পথ নির্দেশ, হরিলক্ষ্মী, সতী, মামলার ফল, অভাগীর স্বর্গ ।
বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় (১৮৭৬-১৯৭৮)
বাহুল্য, বিন্দুবিসর্গ, অদৃশ্য লোক, ঊর্মিমালা, সপ্তমী, দূরবীন, নবমঞ্জরী, অনুগাগিনী, বনফুলের গল্প, বনফুলের আরো গল্প, রঙ্গনা ।
কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬)
ব্যথার দান, রিক্তের বেদন, শিউলীমালা । 56 অন্নদাশঙ্কর রায় : প্রকৃতির পরিহাস, মনপবন, যৌবন জ্বালা, কামিনী কাঞ্চন ।
প্রমথ চৌধুরী (১৮৬৮-১৯৪৬)
চার ইয়ারী কথা, গল্প সংগ্রহ, আহুতি, নীল লোহিত ।
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় :
কালো পাহাড়, রসকলি, জল সাগর, ঘাসের ফুল, বেদেনী, ডাক হরকরা, পাষাণপুরী, নীলকণ্ঠ, ছলনাময়ী, তিন শূন্য ।
ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায় :
মজার গল্প, ভূত ও মানুষ, কঙ্কাবতী, মুক্তামালা, ফোকলা নিম্বর, ডামরু চরিত।
জগদীশ গুপ্ত :
বিনোদিনী, রূপের বাহিরে, শ্রীমতি, উদয়লেখা, শশাঙ্ক কবিরাজের স্ত্রী, মেঘাবৃত অশনি ।
রাজশেখর বসু :
আনন্দবাঈ, কৃষ্ণকলি, হনুমানের স্বপ্ন, কাজ্জলী, নীলতারা, ধস্তরী মায়া, গড্ডলিকা ।
প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় (১৮৭৩-১৯৩২)
নবকথা, ষোড়শী, নতুন বউ, গল্পবীথি, পত্রপুষ্প, গহনার বাক্স, গল্পাঞ্জলি, হতাশ প্রেমিক, বিলাসিনী, জামাতা বাবাজী, যুবকের প্রেম ।
প্রেমেন্দ্র মিত্র :
পঞ্চশর, বেনামী বন্দর, পতুল ও প্রতিমা, ধুলিধূসর, মৃত্তিকা, অফুরন্ত, মহানগর, নানা রঙে বোনা, সপ্তপদী, সামনে চড়াই, ডালপায়রা ।
বিপ্রদাশ বড়ুয়া :
নির্বাচিত প্রেমের গল্প, বীরাঙ্গনার প্রেম, নদীর নাম গণতন্ত্র, গাঙচিল, যুদ্ধ জয়ের গল্প, স্বপ্ন মিছিল।
বুদ্ধদেব বসু (১৯০৮-১৯৭৪)
নতুন নেশা, রেখাচিত্র, খাতার শেষ পাতা, হৃদয়ের জাগরণ, অদৃশ্য শত্রু, ভাসো আমার ভেলা, মিসেস গুপ্ত, একটি সকাল ও একটি সন্ধা, অসামান্য মেয়ে, ঘরেতে ভ্রমর এল, অভিনয় অভিনয় নয়।
আবুল মনসুর আহমদ :
আয়না, ফুড কনফারেন্স, আসমানী পর্দা, গালিভারের সফরনামা।
আখতারুজ্জামান ইলিয়াসঃ
দুধেভাতে উৎপাত, অন্য ঘরে অন্য স্বর, খোঁয়ারি, দোজখের ওম, জাল স্বপ্ন স্বপ্নের জাল।
ইব্রাহিম খাঁ :
লক্ষ্মী পেঁচা, মানুষ ।
আবদুল মান্নান সৈয়দ :
সত্যের মত বদমাশ, চল যাই পরোক্ষে, মৃত্যুর অধিক লাল ক্ষুধা ।
আলাউদ্দিন আল আজাদ :
জেগে আছি, ধানকন্যা, অন্ধকার সিঁড়ি, উজান তরঙ্গে, মৃগনাভি, যখন সৈকতে ।
সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ্ (১৯২২-১৯৭১)
নয়নচারা, দুই তীর ও অন্যান্য গল্প ।
শওকত ওসমান :
প্রস্তর ফলক, জন্ম যদি তব বঙ্গে, জুনু আপা ও অন্যান্য, উভশৃঙ্গ, ডিগবাজী, ঈশ্বরের প্রতিদ্বন্দ্বী । পিজরাপোল,
হাসান আজিজুল হক :
সমুদ্রের স্বপ্ন, শীতের অরণ্য, আমরা অপেক্ষা করছি, জীবন ঘষে আগুন, পাতালে হাসপাতালে, নামহীন গোত্রহীন, আত্মজা ও একটি করবী গাছ ।
শওকত আলী :
উন্মুল বাসনা, লেলিহান স্বাদ, বাবা আপনে যান । 116
আবু ইসহাক :
হারেম, মহাপতঙ্গ ।
জহির রায়হান : (১৯৩৫-১৯৭২)
সূর্যগ্রহণ ।
জসীমউদ্দীন : (১৯০৩-১৯৭৬)
বাঙালির হাসির গল্প
আবুল ফজল :
মাটির পৃথিবী, মৃতের আত্মহত্যা ।