“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি”  – রচয়িতা আবদুল গাফফার চৌধুরী, সুরকার আলতাফ মাহমুদ

“ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি”- সুকান্ত ভট্টাচার্য

“দণ্ডিতের সাথে দণ্ডদাতা কাঁদে যবে সমান আঘাতে সর্বশ্রেষ্ঠ সে বিচার” –রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

“বড়র পিরীতি বালির বাঁধ”- ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর

“সুন্দর হে, দাও দাও সুন্দর জীবন হউক দূর অকল্যাণ সকল অশোভন”- শেখ ফজলুল করিম

“বিদ্যে বোঝাই বাবুমশাই চড়ি শখের বোটে মাঝিরে কন, বলতে পারিস সূর্যি কেন ওঠে?”- সুকুমার রায়

“আধুনিক সভ্যতা দিয়েছে বেগ, নিয়েছে আবেগ” –দৃষ্টিপাত, বিনয়কৃষ্ণ মজুমদার/যাযাবর

“বাঁচতে হলে লাঙ্গল ধর এবার এসে গাঁয়” —গাঁয়ের ডাক, শেখ ফজলল করিম

“পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি

এ জীবন মন সকলি দাও,

তার মত সুখ কোথাও কি আছে?

আপনার কথা ভুলিয়া যাও।” –সুখ, কামিনী রায়

“আহা, কি মধুর ওই আযানের ধ্বনি

মর্মে মর্মে সেই সুর বাজিল কি সুমধুর

আকুল হইল প্রাণ, নাচিল ধমনী ।” –আযান, কায়কোবাদ

“করিতে পারি না কাজ

সদা ভয় সদা লাজ,

সংশয়ে সংকল্প সদা টলে,

পাছে লোকে কিছু বলে । ” –কামিনী রায়

“বিপদে মোরে রক্ষা কর

এ নহে মোর প্রার্থনা,

বিপদে আমি না যেন করি ভয়।” —আত্মত্রাণ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

“যে জন দিবসে মনের হরষে,

জ্বালায় মোমের বাতি, –মিতব্যায়িতা, কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার প

“চিরসুখী জন ভ্রমে কি কখন

ব্যথিত বেদন বুঝিতে পারে? -সমব্যথী, কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার

“বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই,

কুড়ে ঘরে থাকি কর শিল্পের বড়াই,” –স্বাধীনতার সুখ, রজনীকান্ত সেন

“বহু দেশে দেখিয়াছি বহু নদ-দলে,

কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে? -কপোতাক্ষ নদ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত

“মোদের গরব মোদের আশা আ মরি বাংলা ভাষা”

আ মরি বাংলা ভাষা, – অতুলপ্রসাদ সেন

“সকলের তরে সকলে আমরা

প্রত্যেক আমরা পরের তরে।” –পরার্থে, কামিনী রায় ।

“গাহি সাম্যের গান

মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান” -কাজী নজরুল ইসলাম

“বিশ্বে যা’ কিছু মহান সৃষ্টি

চির কল্যাণকর

অর্ধেক তার করিয়াছে নারী

অর্ধেক তার নর।” -নারী, কাজী নজরুল ইসলাম

আজি হতে শতবর্ষ পরে

কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি

আজি হতে শত বর্ষ পরে।” -১৪০০ সাল, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

“তোমার মুখের দিকে আজ আর যায় না তাকানো,

বর্ণমালা, আমার দুঃখিনী বর্ণমালা।” –বর্ণমালা আমার দুঃখিনী বর্ণমালা শামসুর রাহমান

“কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে

দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহিতে? ” –কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার

“সুখের লাগিয়া এর ঘর বাঁধিনু

অনলে পুড়িয়া গেল ।”– জ্ঞানদাস

“দিয়ে সত্য ও ন্যায়ে বাদশাহী মোরা জালিমের খুন নাই” –রণভেরী, কাজী নজরুল ইসলাম

“স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে,

কে বাঁচিতে চায়?” –স্বাধীনতা, রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় ।

“হে বঙ্গ, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন ।

তা সবে, (অবোধ আমি) অবহেলা করি,” —বঙ্গভাষা, মাইকেল মধুসূদন দত্ত

“হে কবি, নীরব কেন ফাগুন যে এসেছে ধরায়,

বসন্তে বরিয়া তুমি লবে না কি তব বন্দনায়? –তাহারেই পড়ে মনে, বেগম সুফিয়া কামাল

“পাখি সব করে রব, রাত্রি পোহাইল

কাননে কুসুম কলি সকলি ফুটিল ।” —মদনমোহন তর্কালঙ্কার

“জীবে প্রেম করে যেইজন, সেইজন সেবিছে ঈশ্বর।” –স্বামী বিবেকানন্দ

“পার্শ্বে জ্বলিয়া মাটির প্রদীপ বাতাসে জমায় খেল;

আঁধারের সাথে যুঝিয়া তাহার ফুরায়ে এসেছে তেল।” — পল্লীজননী, জসীম উদ্দীন

“হা পুত্র! হা বীরবাহু! বীরেন্দ্র-কেশরী ।

কেমন ধরিব প্রাণ তোমার বিহনে?”- মেঘনাদবধ কাব্য, মাইকেল মধুসূদন দত্ত ।

 “তোমার কীর্তির চেয়ে তুমি যে মহৎ

তাই তব জীবনের রথ” — শাজাহান, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

“নানান দেশের নানান ভাষা

বিনে স্বদেশী ভাষা

পুরে কি আশা?” –স্বদেশী ভাষা, রামনিধি গুপ্ত

“কত গ্রাম কত পথ যায় সরে সরে,

শহরে রানার যাবেই পৌঁছে ভোরে।” –রানার, সুকান্ত ভট্টাচার্য

“মাগো, ওরা বলে,

সবার কথা কেড়ে নেবে,

তোমার কোলে শুয়ে

গল্প শুনতে দেবেনা

বল, মা।” — কোন এক মা’কে, আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ স

“জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা কবে?” —মাইকেল মধুসূদন দত্ত

“মোরা একটি ফুলকে বাঁচাব বলে যুদ্ধ করি” –(গোবিন্দ হালদার)

“আপনাকে বড় বলে বড় সেই নয়

লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়।” –বড় কে, ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত

“ভাত দে হারামজাদা, তা না হ’লে মানচিত্র খাবো ।”– রফিক আজাদ

“দেবতারে যাহা দিতে পারি, দিই তাই প্রিয়জনে

প্রিয়জনে যাহা দিতে চাই

তাই দেব দেবতারে ।” – বৈষ্ণব কবিতা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

“ষোল নয় আমার মাতৃভাষার ষোলশত রূপ”- মুনীর চৌধুরী

 “চেষ্টায় সুসিদ্ধ করে জীবনের আশা ।” – মানুষকে, ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত

মার চোখে নেই অশ্রু কেবল

অনলজ্বলা, দু’চোখে তার

শত্রু হননের আহ্বান ।”—শহীদ স্বরণে, মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান

গুচ্ছ গুচ্ছ রক্তকরবীর মতো কিংবা সূর্যাস্তের

জলন্ত মেঘের মতো আসাদের শার্ট

উড়ছে হাওয়ায় নীলিমায় ।” -শামসুর রাহমান

“কবি সেই, ছবি আঁকার অভ্যাস ছিল না ছোট বয়সে,

অথচ শিল্পী বলে সে-ই পেল শ্রেষ্ঠ শিল্পীদের সম্মান।” –এক যে ছিল, সুকান্ত ভট্টাচার্য

“জোটে যদি মোটে একটি পয়সা,

খাদ্য কিনিও ক্ষুধার লাগি

দুটি যদি জোটে

ফুল কিনে নেও হে অনুরাগী ।” -সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত

“হে দারিদ্র্য, তুমি মোরে করেছে মহান ।

তুমি মোরে দানিয়াছ খ্রীস্টের সম্মান

কন্টক মুকুট শোভা ।” – দারিদ্র্য, কাজী নজরুল ইসলাম

“উদোম শরীরে নেমে আসে রাজপথে, বুকে-পিঠে

রৌদ্রের অক্ষরে লেখা অনন্য শ্লোগান” – শামসুর রাহমান

“এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি

নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।” -ছাড়পত্র, সুকান্ত ভট্টাচার্য

“মহাজ্ঞানী মহাজন, যে পথে করে গমন

হয়েছেন প্রাতস্মরণীয়।” জীবন সঙ্গীত, হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়

“ওরে নবীন’ ওরে আমার কাঁচা,

ওরে সবুজ ওরে অবুঝ,

আধ-মরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা ।” -সবুজের অভিযান, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

এই বাঙলায় তোমাকে আসতেই হবে, হে স্বাধীনতা’

—তোমাকে পাওয়ার জন্যে হে স্বাধীনতা- শামসুর রাহমান

“কতরূপ স্নেহ করি, দেশের কুকুর ধরি,

বিদেশের ঠাকুর ফেলিয়া ।” —ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত

“পদ্মা মেঘনা যমুনা নদীর রূপালী রেখার মাঝে,

আঁকা ছিল ছবি সোনার বাঙলা নানা ফসলের সাজে জসীম উদ্দীন

“একুশে ফেব্রুয়ারি,

মৃত্যুর শীর্ষে যারা রেখে গেল

প্রাণ-ফসলের দান

তুমি ইতিহাস বহ তারই ।’ –একুশে ফেব্রুয়ারি, সিকান্দার আবু জাফর”

 “শুনহ মানুষ ভাই

সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই ।” –চণ্ডীদাস

“সাহেব কহেন, ‘চমৎকার! সে চমৎকার ।’

মোসাহেব বলেন, চমৎকার সে হতেই হবে যে,

হুজুরের মতে অমত কার?” –তোষামোদ, কাজী নজরুল ইসলাম

“মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে

মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই ।” কড়ি ও কোমল, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

“এনেছিলে সাথে করে মৃত্যুহীন প্রাণ

মরণে তাহাই তুমি করে গেলে দান ।” -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

কবিতায় আর কি লিখব?

যখন বুকের রক্তে লিখেছি

একটি নাম

বাংলাদেশ।” “শহীদ স্মরণে, মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান,

“জন্মেছি মাগো তোমার কোলেতে

মরি যেন এই দেশে।” –জন্মেছি এই দেশে, সুফিয়া কামাল

“তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা

তোমাকে পাওয়ার জন্যে

আর কতবার ভাসতে হবে রক্ত গঙ্গায়? ” -শামসুর রাহমান

“যে সব বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী।

সে সবে কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।” -বঙ্গবাণী, আবদুল হাকিম

আমার অজানা স্নায়ুতন্ত্রের মত

সর্বক্ষণ সত্য আমার দেশ।” -হাসান হাফিজুর রহমান

‘বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর।’ -বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, জীবনানন্দ দাশ

আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে-এই বাংলায়

হয়ত মানুষ নয় হয়ত বা শঙ্খচিল শালিকের বেশে” —আবার আসিব ফিরে, জীবনানন্দ দাশ

“ফুল ফুল তুলতুল গা ভেজা শিশিরে,

বুলবুল মুশগুল কার গান গাহিরে ।” –পারিব না, কালী প্রসন্ন ঘোষ

“এ নদীর পাশে মজা নদী বার মাস

বর্ষায় আজ বিদ্ৰোহ বুঝি করে ।” -গাঁয়ে, সুকান্ত ভট্টাচার্য

“তুমি মাস্তুলে, আমি দাঁড় টানি, ভুলে

সম্মুখে শুধু অসীম কুয়াশা হেরি” –পাঞ্জেরী, ফররুখ আহমদ

“শোন মা আমিনা, রেখে দেবে কাজ, ত্বরা করে মাঠে চল,

এল মেঘনার জোয়ারের বেলা, এখনি নামিবে ঢল।” – মেঘনার ঢল, হুমায়ুন কবির

“আমার মায়ের সোনার নোলক হারিয়ে গেল শেষে

হেথায় খুঁজি হোথায় খুঁজি সারা বাংলাদেশে।” –নোলক, আল মাহমুদ

“দেশী ভাষা বিদ্যা যার মনে ন জুড়ায়

নিজ দেশ ত্যাগী কেন বিদেশ ন যায়”-কবি আব্দুল হাকিম

“আমি শুনে হাসি, আমি জলে ভাসি এ ছিল মোর ঘটে” –দুই বিঘা জমি, রবীন্দ্রনাথ  ঠাকুর

আমাদের স্বপ্ন হোক ফসলের সুষম বণ্টন – সমর সেন

একখানি ছোট খেত, আমি একেলা” -সোনার তরী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 “মাতৃভাষায় যাহার ভক্তি নাই সে মানুষ নহে।”—মীর মশাররফ হোসেন

আমি এ কথা, এ ব্যথা, সুখ ব্যাকুলতা কাহার চরণতলে দিব নিছনি ।” —গীতবিতান, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 “প্রদীপ নিবিয়া গেল!” –(বিষবৃক্ষ, কপালকুণ্ডলা) বঙ্কিমচন্দ্র  চট্টোপাধ্যায়

“ধর্ম সাধারণ লোকের সংস্কৃতি, আর সংস্কৃতি শিক্ষিত মার্জিত লোকের ধর্ম ” -সংস্কৃতি কথা, মোতাহের হোসেন চৌধুরী ।

কাণ্ডারী এ তরীর পাকা মাঝি মাল্লা

দাড়ি মুখে সারি গান লা শরীক আল্লাহ’ -খেয়াপারের তরণী, কাজী নজরুল ইসলাম

“এই ভাষারই চরণ ধ্বনি

মাটির বুকে জাগায় আশা।” -বাংলা ভাষা, সিকান্দার আবু জাফর জাফর

“গাহি তাহাদের গান

বিশ্বের সাথে জীবনের পথে যারা আজি আগুয়ান।” -কাজী নজরুল ইসলাম

“ঊর্ধ্ব শির যদি তুমি কুল মনে ধনে;

করিওনা ঘৃণা তব নীচ শির জনে।” −রসাল ও স্বর্ণলতিকা, মাইকেল মধুসূদন দত্ত ।

“মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী

আর হাতে রণ-তুর্য’ –বিদ্রোহী কাজী নজরুল ইসলাম”

 “নহে আশরাফ যার আছে শুধু বংশ পরিচয়,

সেই আশরাফ জীবন যাহার পুণ্য কর্মময়” গোলাম মোস্তফা

“আমি তো পাগল হয়ে যাই সে মধুর তানে

 কি যে এক আকর্ষণে ছুটে যাই মুগ্ধ মনে ।” –আযান, কায়কোবাদ

“আমার ঘরের চাবি পরের হাতে”– লালন শাহ ।

উদ্ধৃতি ও পঙ্ক্তি


“আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি”  – রচয়িতা আবদুল গাফফার চৌধুরী, সুরকার আলতাফ মাহমুদ

“ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি”- সুকান্ত ভট্টাচার্য

“দণ্ডিতের সাথে দণ্ডদাতা কাঁদে যবে সমান আঘাতে সর্বশ্রেষ্ঠ সে বিচার” –রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

“বড়র পিরীতি বালির বাঁধ”- ভারতচন্দ্র রায় গুণাকর

“সুন্দর হে, দাও দাও সুন্দর জীবন হউক দূর অকল্যাণ সকল অশোভন”- শেখ ফজলুল করিম

“বিদ্যে বোঝাই বাবুমশাই চড়ি শখের বোটে মাঝিরে কন, বলতে পারিস সূর্যি কেন ওঠে?”- সুকুমার রায়

“আধুনিক সভ্যতা দিয়েছে বেগ, নিয়েছে আবেগ” –দৃষ্টিপাত, বিনয়কৃষ্ণ মজুমদার/যাযাবর

“বাঁচতে হলে লাঙ্গল ধর এবার এসে গাঁয়” —গাঁয়ের ডাক, শেখ ফজলল করিম

“পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি

এ জীবন মন সকলি দাও,

তার মত সুখ কোথাও কি আছে?

আপনার কথা ভুলিয়া যাও।” –সুখ, কামিনী রায়

“আহা, কি মধুর ওই আযানের ধ্বনি

মর্মে মর্মে সেই সুর বাজিল কি সুমধুর

আকুল হইল প্রাণ, নাচিল ধমনী ।” –আযান, কায়কোবাদ

“করিতে পারি না কাজ

সদা ভয় সদা লাজ,

সংশয়ে সংকল্প সদা টলে,

পাছে লোকে কিছু বলে । ” –কামিনী রায়

“বিপদে মোরে রক্ষা কর

এ নহে মোর প্রার্থনা,

বিপদে আমি না যেন করি ভয়।” —আত্মত্রাণ, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

“যে জন দিবসে মনের হরষে,

জ্বালায় মোমের বাতি, –মিতব্যায়িতা, কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার প

“চিরসুখী জন ভ্রমে কি কখন

ব্যথিত বেদন বুঝিতে পারে? -সমব্যথী, কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার

“বাবুই পাখিরে ডাকি, বলিছে চড়াই,

কুড়ে ঘরে থাকি কর শিল্পের বড়াই,” –স্বাধীনতার সুখ, রজনীকান্ত সেন

“বহু দেশে দেখিয়াছি বহু নদ-দলে,

কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে? -কপোতাক্ষ নদ, মাইকেল মধুসূদন দত্ত

“মোদের গরব মোদের আশা আ মরি বাংলা ভাষা”

আ মরি বাংলা ভাষা, – অতুলপ্রসাদ সেন

“সকলের তরে সকলে আমরা

প্রত্যেক আমরা পরের তরে।” –পরার্থে, কামিনী রায় ।

“গাহি সাম্যের গান

মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান” -কাজী নজরুল ইসলাম

“বিশ্বে যা’ কিছু মহান সৃষ্টি

চির কল্যাণকর

অর্ধেক তার করিয়াছে নারী

অর্ধেক তার নর।” -নারী, কাজী নজরুল ইসলাম

আজি হতে শতবর্ষ পরে

কে তুমি পড়িছ বসি আমার কবিতাখানি

আজি হতে শত বর্ষ পরে।” -১৪০০ সাল, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

“তোমার মুখের দিকে আজ আর যায় না তাকানো,

বর্ণমালা, আমার দুঃখিনী বর্ণমালা।” –বর্ণমালা আমার দুঃখিনী বর্ণমালা শামসুর রাহমান

“কাঁটা হেরি ক্ষান্ত কেন কমল তুলিতে

দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহিতে? ” –কৃষ্ণচন্দ্র মজুমদার

“সুখের লাগিয়া এর ঘর বাঁধিনু

অনলে পুড়িয়া গেল ।”– জ্ঞানদাস

“দিয়ে সত্য ও ন্যায়ে বাদশাহী মোরা জালিমের খুন নাই” –রণভেরী, কাজী নজরুল ইসলাম

“স্বাধীনতা হীনতায় কে বাঁচিতে চায় হে,

কে বাঁচিতে চায়?” –স্বাধীনতা, রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় ।

“হে বঙ্গ, ভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন ।

তা সবে, (অবোধ আমি) অবহেলা করি,” —বঙ্গভাষা, মাইকেল মধুসূদন দত্ত

“হে কবি, নীরব কেন ফাগুন যে এসেছে ধরায়,

বসন্তে বরিয়া তুমি লবে না কি তব বন্দনায়? –তাহারেই পড়ে মনে, বেগম সুফিয়া কামাল

“পাখি সব করে রব, রাত্রি পোহাইল

কাননে কুসুম কলি সকলি ফুটিল ।” —মদনমোহন তর্কালঙ্কার

“জীবে প্রেম করে যেইজন, সেইজন সেবিছে ঈশ্বর।” –স্বামী বিবেকানন্দ

“পার্শ্বে জ্বলিয়া মাটির প্রদীপ বাতাসে জমায় খেল;

আঁধারের সাথে যুঝিয়া তাহার ফুরায়ে এসেছে তেল।” — পল্লীজননী, জসীম উদ্দীন

“হা পুত্র! হা বীরবাহু! বীরেন্দ্র-কেশরী ।

কেমন ধরিব প্রাণ তোমার বিহনে?”- মেঘনাদবধ কাব্য, মাইকেল মধুসূদন দত্ত ।

 “তোমার কীর্তির চেয়ে তুমি যে মহৎ

তাই তব জীবনের রথ” — শাজাহান, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

“নানান দেশের নানান ভাষা

বিনে স্বদেশী ভাষা

পুরে কি আশা?” –স্বদেশী ভাষা, রামনিধি গুপ্ত

“কত গ্রাম কত পথ যায় সরে সরে,

শহরে রানার যাবেই পৌঁছে ভোরে।” –রানার, সুকান্ত ভট্টাচার্য

“মাগো, ওরা বলে,

সবার কথা কেড়ে নেবে,

তোমার কোলে শুয়ে

গল্প শুনতে দেবেনা

বল, মা।” — কোন এক মা’কে, আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ স

“জন্মিলে মরিতে হবে, অমর কে কোথা কবে?” —মাইকেল মধুসূদন দত্ত

“মোরা একটি ফুলকে বাঁচাব বলে যুদ্ধ করি” –(গোবিন্দ হালদার)

“আপনাকে বড় বলে বড় সেই নয়

লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়।” –বড় কে, ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত

“ভাত দে হারামজাদা, তা না হ’লে মানচিত্র খাবো ।”– রফিক আজাদ

“দেবতারে যাহা দিতে পারি, দিই তাই প্রিয়জনে

প্রিয়জনে যাহা দিতে চাই

তাই দেব দেবতারে ।” – বৈষ্ণব কবিতা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

“ষোল নয় আমার মাতৃভাষার ষোলশত রূপ”- মুনীর চৌধুরী

 “চেষ্টায় সুসিদ্ধ করে জীবনের আশা ।” – মানুষকে, ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত

মার চোখে নেই অশ্রু কেবল

অনলজ্বলা, দু’চোখে তার

শত্রু হননের আহ্বান ।”—শহীদ স্বরণে, মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান

গুচ্ছ গুচ্ছ রক্তকরবীর মতো কিংবা সূর্যাস্তের

জলন্ত মেঘের মতো আসাদের শার্ট

উড়ছে হাওয়ায় নীলিমায় ।” -শামসুর রাহমান

“কবি সেই, ছবি আঁকার অভ্যাস ছিল না ছোট বয়সে,

অথচ শিল্পী বলে সে-ই পেল শ্রেষ্ঠ শিল্পীদের সম্মান।” –এক যে ছিল, সুকান্ত ভট্টাচার্য

“জোটে যদি মোটে একটি পয়সা,

খাদ্য কিনিও ক্ষুধার লাগি

দুটি যদি জোটে

ফুল কিনে নেও হে অনুরাগী ।” -সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত

“হে দারিদ্র্য, তুমি মোরে করেছে মহান ।

তুমি মোরে দানিয়াছ খ্রীস্টের সম্মান

কন্টক মুকুট শোভা ।” – দারিদ্র্য, কাজী নজরুল ইসলাম

“উদোম শরীরে নেমে আসে রাজপথে, বুকে-পিঠে

রৌদ্রের অক্ষরে লেখা অনন্য শ্লোগান” – শামসুর রাহমান

“এ বিশ্বকে এ শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি

নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার।” -ছাড়পত্র, সুকান্ত ভট্টাচার্য

“মহাজ্ঞানী মহাজন, যে পথে করে গমন

হয়েছেন প্রাতস্মরণীয়।” জীবন সঙ্গীত, হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়

“ওরে নবীন’ ওরে আমার কাঁচা,

ওরে সবুজ ওরে অবুঝ,

আধ-মরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা ।” -সবুজের অভিযান, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

এই বাঙলায় তোমাকে আসতেই হবে, হে স্বাধীনতা’

—তোমাকে পাওয়ার জন্যে হে স্বাধীনতা- শামসুর রাহমান

“কতরূপ স্নেহ করি, দেশের কুকুর ধরি,

বিদেশের ঠাকুর ফেলিয়া ।” —ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত

“পদ্মা মেঘনা যমুনা নদীর রূপালী রেখার মাঝে,

আঁকা ছিল ছবি সোনার বাঙলা নানা ফসলের সাজে জসীম উদ্দীন

“একুশে ফেব্রুয়ারি,

মৃত্যুর শীর্ষে যারা রেখে গেল

প্রাণ-ফসলের দান

তুমি ইতিহাস বহ তারই ।’ –একুশে ফেব্রুয়ারি, সিকান্দার আবু জাফর”

 “শুনহ মানুষ ভাই

সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই ।” –চণ্ডীদাস

“সাহেব কহেন, ‘চমৎকার! সে চমৎকার ।’

মোসাহেব বলেন, চমৎকার সে হতেই হবে যে,

হুজুরের মতে অমত কার?” –তোষামোদ, কাজী নজরুল ইসলাম

“মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে

মানবের মাঝে আমি বাঁচিবারে চাই ।” কড়ি ও কোমল, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

“এনেছিলে সাথে করে মৃত্যুহীন প্রাণ

মরণে তাহাই তুমি করে গেলে দান ।” -রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

কবিতায় আর কি লিখব?

যখন বুকের রক্তে লিখেছি

একটি নাম

বাংলাদেশ।” “শহীদ স্মরণে, মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান,

“জন্মেছি মাগো তোমার কোলেতে

মরি যেন এই দেশে।” –জন্মেছি এই দেশে, সুফিয়া কামাল

“তোমাকে পাওয়ার জন্যে, হে স্বাধীনতা

তোমাকে পাওয়ার জন্যে

আর কতবার ভাসতে হবে রক্ত গঙ্গায়? ” -শামসুর রাহমান

“যে সব বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী।

সে সবে কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।” -বঙ্গবাণী, আবদুল হাকিম

আমার অজানা স্নায়ুতন্ত্রের মত

সর্বক্ষণ সত্য আমার দেশ।” -হাসান হাফিজুর রহমান

‘বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, তাই আমি পৃথিবীর রূপ খুঁজিতে যাই না আর।’ -বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, জীবনানন্দ দাশ

আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে-এই বাংলায়

হয়ত মানুষ নয় হয়ত বা শঙ্খচিল শালিকের বেশে” —আবার আসিব ফিরে, জীবনানন্দ দাশ

“ফুল ফুল তুলতুল গা ভেজা শিশিরে,

বুলবুল মুশগুল কার গান গাহিরে ।” –পারিব না, কালী প্রসন্ন ঘোষ

“এ নদীর পাশে মজা নদী বার মাস

বর্ষায় আজ বিদ্ৰোহ বুঝি করে ।” -গাঁয়ে, সুকান্ত ভট্টাচার্য

“তুমি মাস্তুলে, আমি দাঁড় টানি, ভুলে

সম্মুখে শুধু অসীম কুয়াশা হেরি” –পাঞ্জেরী, ফররুখ আহমদ

“শোন মা আমিনা, রেখে দেবে কাজ, ত্বরা করে মাঠে চল,

এল মেঘনার জোয়ারের বেলা, এখনি নামিবে ঢল।” – মেঘনার ঢল, হুমায়ুন কবির

“আমার মায়ের সোনার নোলক হারিয়ে গেল শেষে

হেথায় খুঁজি হোথায় খুঁজি সারা বাংলাদেশে।” –নোলক, আল মাহমুদ

“দেশী ভাষা বিদ্যা যার মনে ন জুড়ায়

নিজ দেশ ত্যাগী কেন বিদেশ ন যায়”-কবি আব্দুল হাকিম

“আমি শুনে হাসি, আমি জলে ভাসি এ ছিল মোর ঘটে” –দুই বিঘা জমি, রবীন্দ্রনাথ  ঠাকুর

আমাদের স্বপ্ন হোক ফসলের সুষম বণ্টন – সমর সেন

একখানি ছোট খেত, আমি একেলা” -সোনার তরী, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 “মাতৃভাষায় যাহার ভক্তি নাই সে মানুষ নহে।”—মীর মশাররফ হোসেন

আমি এ কথা, এ ব্যথা, সুখ ব্যাকুলতা কাহার চরণতলে দিব নিছনি ।” —গীতবিতান, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

 “প্রদীপ নিবিয়া গেল!” –(বিষবৃক্ষ, কপালকুণ্ডলা) বঙ্কিমচন্দ্র  চট্টোপাধ্যায়

“ধর্ম সাধারণ লোকের সংস্কৃতি, আর সংস্কৃতি শিক্ষিত মার্জিত লোকের ধর্ম ” -সংস্কৃতি কথা, মোতাহের হোসেন চৌধুরী ।

কাণ্ডারী এ তরীর পাকা মাঝি মাল্লা

দাড়ি মুখে সারি গান লা শরীক আল্লাহ’ -খেয়াপারের তরণী, কাজী নজরুল ইসলাম

“এই ভাষারই চরণ ধ্বনি

মাটির বুকে জাগায় আশা।” -বাংলা ভাষা, সিকান্দার আবু জাফর জাফর

“গাহি তাহাদের গান

বিশ্বের সাথে জীবনের পথে যারা আজি আগুয়ান।” -কাজী নজরুল ইসলাম

“ঊর্ধ্ব শির যদি তুমি কুল মনে ধনে;

করিওনা ঘৃণা তব নীচ শির জনে।” −রসাল ও স্বর্ণলতিকা, মাইকেল মধুসূদন দত্ত ।

“মম এক হাতে বাঁকা বাঁশের বাঁশরী

আর হাতে রণ-তুর্য’ –বিদ্রোহী কাজী নজরুল ইসলাম”

 “নহে আশরাফ যার আছে শুধু বংশ পরিচয়,

সেই আশরাফ জীবন যাহার পুণ্য কর্মময়” গোলাম মোস্তফা

“আমি তো পাগল হয়ে যাই সে মধুর তানে

 কি যে এক আকর্ষণে ছুটে যাই মুগ্ধ মনে ।” –আযান, কায়কোবাদ

“আমার ঘরের চাবি পরের হাতে”– লালন শাহ ।

Write Reply...