মহাকাব্যের উদ্ভব ও বিকাশ:
মহাকাব্য ও মহাকাব্যের প্রকারভেদঃ
নানা সর্গে বা পরিচ্ছেদে বিভক্ত যে কাব্যে কোন সুমহান বিষয় বস্তুকে অবলম্বন করে এক বা বহু বীরোচিত চরিত্র অথবা অতি লৌকিক শক্তি সম্পাদিত কোন নিয়তি নির্ধারিত ঘটনা ওজস্বী ছন্দে বর্ণিত হয়, তাকে মহাকাব্য বলে ।
মহাকাব্য ২ প্রকার- জাত মহাকাব্য, সাহিত্যিক মহাকাব্য
জাতমহাকাব্য-
যে মহাকাব্য কোন বিশেষ কবির রচিত নয়। অর্থাৎ যে মহাকাব্য জাতীয় জীবনের জাতির সহস্র বছরের হৃদপিণ্ডের স্পন্দন পরবর্তীকালে কেউ একত্রিত করে অখণ্ড কাব্যরূপদেন তাকে জাত মহাকাব্য বলে।
জাত মহাকাব্য চারটি:
(1) রামায়ণ- বাল্মীকি রচিত
(২) মহাভারত -ব্যাসদেব রচিত
(৩) ইলিয়াড-হোমার রচিত
(৪) ওডিসি-হোমার রচিত ।
সাহিত্যিক মহাকাব্য –
যে মহাকাব্যের মাধ্যমে ব্যক্তিগত অনুভূতি উচ্চারিত হয় তাকে সাহিত্যিক মহাকাব্য বলে। যেমন- ভার্জিলের- ‘ইনিড’, মিলটনের- ‘প্যারাডাইস লস্ট, মধুসূদনের ‘মেঘনাদবধ কাব্য’।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত (১৮৬১): বাংলা সাহিত্যের প্রথম এবং শ্রেষ্ঠ মহাকাব্য ‘মেঘনাদবধ কাব্য’।
হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়- (১৮৩৮-১৯০৩): বৃত্রসংহার কাব্য (১ম খণ্ড ১৮৭৫, ২য় ১৮৭৭)। →
নবীনচন্দ্র সেন (১৮৪৭-১৯০৯) ত্রয়ী মহাকাব্য- রৈবতক (১৮৮৩), কুরুক্ষেত্র (১৮৯৩), প্রভাস (১৮৯৬)
কায়কোবাদ (১৮৫৭-১৯৫১): মহাশ্মশান (১৯০৪)
সৈয়দ ইসমাইল হোসেনে সিরাজী (১৮৭৯-১৯৩১): স্পেন বিজয় (১৯১৪)।
হামিদ আলী (১৮৭৪- ১৯৫৪): কাশেম বধ ।
যোগীন্দ্রনাথ বসু (১৮৫৪-১৯২৭): পৃথ্বীরাজ, শিবাজী ।
আনন্দ মিত্র- ভারতমঙ্গল ।