উপন্যাস : উদ্ভব ও বিকাশ
উপন্যাসের প্রাথমিক প্রচেষ্টা
[ নির্দেশনাঃ শুধু বোল্ড করা গ্রন্থের নাম মনে রাখুন]
ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় (১৭৮৭-১৮৪৮) : তিনি রক্ষণশীল হিন্দু ও সাহিত্যিক। তৎকালীন কলকাতার সমাজ জীবনের দুর্নীতি, অনাচার ও মূর্খতার আবরণ উন্মোচন কল্পে লেখনী ধারণ করেন । তাঁর ‘কলিকাতা কমলালয়’ (১৮২৩), ‘নববাবু বিলাস’ (১৮২৫) ‘দূতী বিলাস’, ‘নববিবি বিলাস’, ‘আশ্চর্য উপাখ্যান‘ প্রভৃতি কাহিনী নির্ভর গদ্য, এগুলো উপন্যাসের মর্যাদা পায় না।
হ্যানা ক্যাথারিন ম্যালেন্স : ১৮৫২ খ্রি. তাঁর ‘ফুলমনি ও করুণার বিবরণ‘ নামে খ্রিস্টধর্মের মাহাত্ম্য প্রচারধর্মী একটি গদ্য কাহিনী লেখেন, এটি যথার্থ উপন্যাস নয় ।
নব্য উপন্যাসের দিক নির্দেশনা
প্যারীচাঁদ মিত্র (১৮১৪-১৮৮৩) : তাঁকে নব্য উপন্যাসের পথিকৃত বলা হয়। ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয় তাঁর ‘আলালের ঘরের দুলাল’ । অনেকে এ গ্রন্থটিকে প্রথম বাংলা উপন্যাস বলতে চান । কিন্তু এতে ঔপন্যাসিক কলাকৌশল তেমন দৃষ্ট হয় না ।
কালী প্রসন্ন সিংহ (১৮৪০-১৮৭০) :তাঁর ‘হুতোম প্যাঁচার নকশা‘ (১৮৬২) তে তৎকালীন কতগুলো সামাজিক চিত্র ব্যঙ্গ কৌতুকের মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন ।
ভূদেব মুখোপাধ্যায় (১৮২৭-১৮৯৪) : ঐতিহাসিক উপন্যাসের প্রথম আবির্ভাব তাঁর ‘ঐতিহাসিক উপন্যাস’ (১৮৫৭) মাধ্যমে। এতে ‘সফলস্বপ্ন’ ও ‘অঙ্গুরীয় বিনিময়’ নামে দুটি আখ্যান সন্নিবিষ্ট । কিন্তু গ্রন্থটি সার্থক উপন্যাসের দাবি করতে পারে না। ।
বাংলা উপন্যাসের নব দিগন্ত
বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৮-১৮৯৪) : তাঁর ‘দুর্গেশনন্দিনী’ (১৮৬৫) প্রথম উচ্চাঙ্গের ঐতিহাসিক উপন্যাস এবং বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস। তিনি বাংলা ভাষায় চৌদ্দটি ও ইংরেজিতে ১টি উপন্যাস রচনা করেন। উপন্যাসগুলো দুর্গেশনন্দিনী (১৮৬৫); কপালকুণ্ডলা (১৮৬৬); মুণালিনী (১৮৬৯); বিষবৃক্ষ (১৮৭৩); ইন্দিরা (১৮৭৩); যুগলাঙ্গুরীয় (১৮৭৪); রাধারাণী (১৮৭৫); চন্দ্রশেখর (১৮৭৫); রজনী (১৮৭৭); কৃষ্ণকান্তের উইল (১৮৭৮); রাজসিংহ (১৮৮২); আনন্দমঠ (১৮৮২); দেবী চৌধুরানী (১৮৮৪); সীতারাম (১৮৮৭); ইংরেজি উপন্যাস – Rajmohan’s Wife (1864)
রমেশ চন্দ্র দত্ত (১৩ আগস্ট ১৮৪৮ – ৩০ নভেম্বর ১৯০৯):
সামাজিক উপন্যাস – সংসার (১৮৮৬), সমাজ (১৮৯৩) –
ঐতিহাসিক উপন্যাস – বঙ্গবিজেতা (১৮৭৪), মাধবী কঙ্কন (১৮৭৭), (মহারাষ্ট্র) জীবন প্রভাত (১৮৭৮), (রাজপুত) জীবন সন্ধ্যা (১৮৭৯)
সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৩৪-১৮৮৯): (i) জাল প্রতাপ (১৮৭৭), কণ্ঠমালা (১৮৭৭), মাধবীলতা ।
প্রতাপচন্দ্র ঘোষ (১৮৪০-১৯২১) ঐতিহাসিক উপন্যাস ‘বঙ্গাধিপতি পরাজয়’ ।
তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায় (১৮৪৩-৯১)- স্বর্ণলতা (১৮৭৪) ।
ত্রৈলোক্যনাথ মুখোপাধ্যায়- কঙ্কাবতী ।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর- বৌ ঠাকুরাণীর হাট (১৮৮৩), রাজর্ষি (১৮৮৭), চোখের বালি(১৯০৩), নৌকাডুবি (১৯০৬), প্রজাপতির নির্বন্ধ (১৯০৪), গোরা (১৯১০), ঘরে বাইরে (১৯১৬), চতুরঙ্গ (১৯১৬), যোগাযোগ (১৯২৯) (১০) শেষের কবিতা (১৯২৯), দুইবোন (১৯৩৩), মালঞ্চ (১৯৩৪), চার অধ্যায় (১৯৩৪)।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (১৮৭৬-১৯৩৮) বড়দিদি (১৯০৭), বিরাজ বৌ (১৯১৪), পরিণীতা (১৯১৪), পণ্ডিত মশাই (১৯১৪), পল্লীসমাজ (১৯১৬), চন্দ্রনাথ (১৯১৬), বৈকুণ্ঠের উইল (১৯১৬), অরক্ষণীয়া (১৯১৬), শ্রীকান্ত (১৯১৭, ১৮, ২৭, ৩৩), দেবদাস (১৯১৭), নিষ্কৃিতি (১৯১৭), কাশীনাথ (১৯১৭), চরিত্রহীন (১৯১৭), দত্তা (১৯১৮), গৃহদাহ (১৯২০), বামুনের মেয়ে (১৯২০), দেনাপাওনা (১৯২৩), পথের দাবী (১৯২৬), শেষ প্রশ্ন (১৯৩১), বিপ্রদাস (১৯৩৫), শেষের পরিচয় (১৯৩৯) অসমাপ্ত ।
হরপ্রসাদ শাস্ত্রী (১৮৫৩-১৯৩১): কাঞ্চনমালা (১৯১৬), বেণের মেয়ে (১৯২০)।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় (১৯০৮-১৯৫৬) জননী (১৯৩৫), দিবারাত্রির কাব্য (১৯৩৫), পুতুলনাচের ইতিকথা, (১৯৩৬), পদ্মানদীর মাঝি (১৯৩৬), সহরতলী (১৯৪০), অহিংসা, সহরবাসের ইতিকথা, হরফ, চিহ্ন, সোনার চেয়ে দামি, আরোগ্য, স্বাধীনতার স্বাদ, অমৃতস্য পুত্রা, চতুষ্কোণ, হলুদ নদী সবুজবন, পরাধীন প্রেম, জীয়ন্ত, নাগপাশ, চিত্তামনি, ইতিকথার পরের কথা, প্রতিবিম্ব ।
তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৯৮-১৯৭১): চৈতালী ঘূর্ণি (১৯৩১ প্রথম), ধাত্রী দেবতা, গণদেবতা, পঞ্চগ্রাম, কালিন্দী, হাঁসুলি বাঁকের উপকথা, চাপা ভাঙ্গার বৌ, মন্বন্তর, আগুন, কবি (১৯৪২), আরোগ্য নিকেতন, বিপাশা, সন্দীপন পাঠশালা, একটি চড়ুই পাখি ও কালো মেয়ে, একটি কালো মেয়ের কথা, উনিশ শ একাত্তর, নবদিগন্ত, রাধা, পঞ্চপুগুলী, যতিভঙ্গ, অভিযান, রাইকমল, পাষাণপুরী, নীল আগুন, নাগিনী কন্যার কাহিনী, কালান্তর, বিচারক, সপ্তপদী, উত্তরায়ণ, মহাশ্বেতা, যোগভ্রষ্ট, বিচারক, ভুবনপুরের হাট, মঞ্জুরী অপেরা, গন্না বেগম (ঐতিহাসিক)।
বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় (১৮৯৪-১৯৫০): পথের পাঁচালী (১৯২৯ প্রথম), অপরাজিত, আরণ্যক, দৃষ্টিপ্রদীপ, আদর্শ হিন্দু হোটেল, দেবযান, বিপিনের সংসার, ইছামতী, দুইবাড়ি, অনুবর্তন, কেদার রাজা, অথৈ জল, দম্পতি, অশনি সংকেত।
বুদ্ধদেব বসু (১৯০৮-১৯৭৪): সাড়া (১৯৩০ প্রথম), তিথিডোর, সানন্দা, পরিক্রমা, রাত ভ’রে বৃষ্টি, কালো হাওয়া, লাল মেঘ, মৌলিনাথ, বিপন্ন বিশ্বয়, নীলাঞ্জনের খাতা, নির্জন স্বাক্ষর, শেষ পাণ্ডুলিপি, একদা তুমি প্রিয়ে।
অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত (১৯০৩-১৯৭৬): বেদে (১৯২৮ প্রথম), ঊর্ণনাভ, কাকজ্যোৎস্না, প্রথম কদমফুল, আসমুদ্র, প্রচ্ছদপট, অন্তরঙ্গ, রূপসী রাত্রি ।
প্রবোধকুমার সান্যাল (১৯০৫-১৯৮৩): অগ্রগামী, যাযাবর, দুই আর দুয়ে চার, বাতাস দিল দোল, কাজল লতা, কলরব, প্রিয় বান্ধবী, আলো আর আগুন, আকা বাঁকা, নদ ও নদী, জনম অবধি মে, জলকল্লোল, তুচ্ছ, নগরে অনেক রাত, নববোধন, বনহংসী, পিয়া মুখচন্দা, পুষ্পধনু, হাসুবানু, বসন্ত বাহার ।
অনদাশঙ্কর রায় (১৯০৪-২০০২): অসমাপিকা (১৯৩০), যার যেথা দেশ, অজ্ঞাতবাস, আগুন নিয়ে খেলা, পুতুল নিয়ে খেলা, কঙ্কাবতী, দুঃখমোচন, সত্যাসত্য, রত্ন ও শ্রীমতি, ক্রান্তদর্শী, মর্ত্যের স্বর্গ, অপসরণ ।
দিলীপকুমার রায়– মনের পরশ (১৯২৬ প্রথম), রঙের পরশ, বহুবল্লভ, দুধারা । ধূর্জটিপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়- অন্তঃশীলা, আবর্ত, মোহনা
বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় (বনফুল- ১৮৯৯-১৯৭৯): অগ্নি, তৃণখণ্ড, কিছুক্ষণ, বৈতরণী তীরে, দ্বৈরথ, মৃগয়া, জঙ্গম, স্থাবর, পঞ্চপর্ব, নবদিগন্ত, সে ও আমি, লক্ষ্মীর আগমন, নির্মোক, স্বপ্নসম্ভব, কষ্টি পাথর, নিরঞ্জনা, অগ্নিশ্বর, জলতরঙ্গ ।
শৈলজানন্দ মুখোপাধ্যায় (১৯০২-১৯৭৬): ঝড়ো হাওয়া, মহাযুদ্ধের ইতিহাস, জোয়ারভাটা, পূর্ণচ্ছেদ, অনাহুত, অনিবার্য, খরস্রোতা, অপরাধী, লহ প্রণাম, অরুণোদয়, গঙ্গা যমুনা, শোভাযাত্রা, আকাশ কুসুম, বন্ধুপ্রিয়া, বিজয়া, শুভদিন ।
গোপাল হালদার (১৯০২-১৯৯৩): একদা, আর একদিন, অন্যদিন ।
প্রমথনাথ বিশী (১৯০১-১৯৮৫) জোড়া দীঘির চৌধুরী পরিবার, কেরি সাহেবের মুন্সী, দেশের শত্রু, পদ্মা, অশথের অভিশাপ, চলনবিল, লালকেল্লা, অশরীরী, ডাকিনী, ধনে পাতা ।
মনোজ বসু (১৯০১-১৯৮৭): ভুলিনাই, জলজঙ্গল, সৈনিক, বৃষ্টি বৃষ্টি, আমার ফাঁসি হল, রক্তের বদলে রক্ত, মানুষ গড়ার কারিগর, রূপবতী, বন কেটে বসত, নিশিকুটুম্ব, মৃত্যুর চোখে আগুন, রাজকন্যার স্বয়ম্বর, স্বর্ণসজ্জা, ছবি আর ছবি, রানী, প্রেমিক।
বিমল মিত্র (১৯২২-১৯৯১): কড়ি দিয়ে কিনলাম, ছাই, দিনের পর দিন, সাহেব বিবি গোলাম, একক দশক শতক, পুতুল দিদি, পরস্ত্রী, তিন নম্বর সাক্ষী, কন্যাপক্ষ, মিথুন লগ্ন। অবধূত (১৯১০-১৯৭৮) উদ্ধারণপুরের ঘাট, দুর্গম পন্থা, ভূমিকা লিপি পূর্ববৎ, বশীকরণ, দেবাদিগণ ।
জরাসন্ধ ( চারুচন্দ্র চক্রবর্তী) : লৌহকপাট, তাপসী, ন্যায়দণ্ড ।
অদ্বৈত মল্লবর্মণ (১৯১৪-১৯৫১): তিতাস একটি নদীর নাম ।
যাযাবর( বিনয় মুখোপাধ্যায় ১৯১২-১৯৮৫): জনান্তিক ।
সমরেশ বসু (১৯২৪-১৯৮৮): গঙ্গা, বিবর, প্রজাপতি, শ্রীমতী ক্যাফে, দেখি নাই ফিরে, জগদ্দল, উত্তরঙ্গ, অমৃত কুম্ভের সন্ধানে ।
সত্যেন সেন (১৯০৭-১৯৮১): ভোরের বিহঙ্গী, অভিশপ্ত নগরী, পাপের সন্তান, রুদ্ধদ্বার মুক্তপ্রাণ, পদচিহ্ন, সেয়ানা, বিদ্রোহী কৈবর্ত, মা, অপরাজেয়. প্রতিরোধ সংগ্রামে বাংলাদেশ, বাংলাদেশের কৃষকের সংগ্রাম, বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রাম, কুমারজীব
স্ত্রী ঔপন্যাসিক
স্বর্ণকুমারী দেবী (১৮৫৫-১৯৩২)- প্রথম মহিলা ঔপন্যাসিক ।
ঐতিহাসিক উপন্যাস- দীপ নির্বাণ (১৮৭৬ প্রথম), ফুলের মালা, মিবাররাজ, বিদ্রোহ । সামাজিক – ছিন্নমুকুল, মালতি ।
অন্যান্য- হুগলীর ইমামবাড়ী, কাহাকে, স্নেহলতা, বিচিত্র, স্বপ্নবাণী, মিলনরাতি ।
অনুরূপা দেবী (১৮৮১-১৯৫৮) মন্ত্রশক্তি, হারানো খাতা, উত্তরায়ণ, পথ-হারা, বাগ দত্তা, মহানিশা, মা, পোষ্যপুত্র, জ্যোতিহারা, রামগড়, ত্রিবেণী, চক্র, পথের সাথী, গরীবের মেয়ে ।
নিরুপমা দেবী (১৮৮৩-১৯৫১) উচ্ছৃঙ্খল (প্রথম), দিদি (শ্রেষ্ঠ) অন্নপূর্ণার মন্দির, বিধিলিপি, শ্যামলী, বন্ধু, পরের ছেলে ।
সীতা দেবী (১৮৯৫-১৯৭৭) পথিকবন্ধু, রজনীগন্ধা, পরভৃতিকা, বন্যা, মাতৃঋণ, জন্মস্বত্ব ।
শান্তাদেবী (১৮৯৬-১৯৮৪) স্মৃতির সৌরভ, চিরন্তনী, জীবনদোলা ।
ইন্দিরা দেবী (১৮৮৯-১৯২২) সৌধ রহস্য, স্পর্শমনি ।
আশালতা সিংহ– সমৰ্পণ ।
প্রতিভা বসু– মনের ময়ূর, বিবাহিতা স্ত্রী, সমুদ্র হৃদয়, মেঘের পর মেঘ, বনে যদি ফুটল কুসুম ।
মহাশ্বেতা ভট্টাচার্য– নটী, মধুরে মধুর, প্রেমতারা, এতটুকু আশা, তিমির লগন, তারার আঁধার ।
বাণী রায় প্রেম, শ্রীলতা ও সম্পা, কনে দেখা আলো, সুন্দরী মঞ্জুলেখা, আর ও কথা বলো। –
লীলা মজুমদার– চীনে লণ্ঠন, শ্রীমতি, জোনাকি ।
আশাপূর্ণা দেবী– মিত্তির বাড়ী, বলয়গ্রাম, অগ্নিপরীক্ষা, কল্যাণী, নির্জন পৃথিবী, শশীবাবুর সংসার, অতিক্রান্ত, উন্মোচন, জনম জনম কি সাথী, আংশিক, ছাড়পত্র, সমুদ্র নীল আকাশ নীল, যোগ বিয়োগ, নবজন্ম, নেপথ্য নায়িকা।
মুসলমান ঔপন্যাসিক
মীর মশাররফ হোসেন (১৮৪৭-১৯১২) : তিনি বাংলা সাহিত্যে প্রথম মুসলিম ঔপন্যাসিক । তাঁর উপন্যাসগুলো হচ্ছে রত্নবতী (১৮৬৯ প্রথম), এসলামের জয়, রাজিয়া খাতুন, বিষাদসিন্ধু, উদাসীন পথিকের মনের কথা (আত্মজৈবনিক), তাহমিনা, বাঁধা খাতা, গাজী মিঞার বস্তানী (ব্যঙ্গাত্মক), নিয়তি কি অবনতি ।
নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী (১৮৫৮-১৯০৩) উপন্যাস- রূপজালাল (১৮৭৬) মুসলমান নারী ঔপন্যাসিক রচিত প্রথম উপন্যাস । এটি গদ্যে পদ্যে লেখা আত্মজৈবনিক উপন্যাস ।
মোজাম্মেল হক (১৮৬০-১৯৩৩) জোহরা, দরাফ খাঁ গাজী ।
আর্জুমন্দ আলী চৌধুরী (১৮৭০-১৯৪১) প্রেমদর্পণ ।
মোহাম্মদ নজিবুর রহমান (১৮৬০-১৯২৩) আনোয়ারা, মেহেরউন্নিসা, গরীবের মেয়ে, পরিণাম, প্রেমের সমাধি, দুনিয়া আর চাই না, চাঁদতারা বা হাসান গঙ্গা বাহমনি ।
মতীয়র রহমান খান (১৮৭২-১৯৩৭) যমুনা, নবকুমুদ, মোক্ষপ্রাপ্তি ।
সফিউদ্দিন আহমদ (১৮৭৭-১৯২২) সৈয়দ সাহেব, কনৌজ কুমারী, প্রতাপ নন্দিনী, দুইটি ভগ্নী ।
সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী (১৮৮০-১৯৩১) তারাবাঈ, নূরউদ্দিন, ফিরোজা রায়নন্দিনী ।
বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন (১৮৮০-১৯৩২) পদ্মরাগ (১৯২৪)।
কাজী ইমদাদুল হক (১৮৮২-১৯২৬) আব্দুল্লাহ্ (১৯৩৩) মৃত্যুর পর প্রকাশিত ।
ডাক্তার মোহাম্মদ লুৎফর রহমান (১৮৯৩-১৯৫৩) বাসর উপহার, প্রীতি উপহার, রায়হান, সরলা ।
শাহাদাৎ হোসেন- (১৮৯৩-১৯৫৩) মরুর কুসুম, হিরণরেখা, পারের পথে, স্বামীর ভুল, ঘরের লক্ষী, খেয়াতরী, সোনার কাঁকন, রিক্তা, যুগের আলো, পথের দেখা, কাঁটাফুল, শিরি ফরহাদ, লায়লী মজনু, ইউসুফ জোলেখা ।
কাজী আবদুল ওদুদ (১৮৯৪-১৯৭০) – নদীবক্ষে, আজাদ ।
কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬) বাঁধনহারা, কুহেলিকা, মৃত্যুক্ষুধা। জসীম উদ্দীন (১৯০৩-১৯৭৬) বোবা কাহিনী ।
সৈয়দ মুজতবা আলী- অবিশ্বাস্য, শবনম ।
আবুল ফজল (১৯০৩-১৯৮৩)- চৌচির, সাহসিকা, জীবন পথের যাত্রী, রাঙ্গা প্রভাত, প্রদীপ ও পতঙ্গ ।
সৈয়দ ওয়ালীল্লাহ্ (১৯২২-১৯৭১) লালসালু, চাঁদের অমাবস্যা, কাঁদো নদী কাঁদো 5 শহীদুল্লাহ কায়সার (১৯২৭-১৯৭১) সংশপ্তক, সারেং বৌ ।
শওকত ওসমান (১৯১৭-১৯৯৮) বনি আদম, জননী, ক্রীতদাসের হাসি, চৌরসন্ধি, nসমাগম, জাহান্নাম হইতে বিদায়, রাজা উপাখ্যান, দুই সৈনিক, নেকড়ে অরণ্য, পতঙ্গ পিঞ্জর, রাজসাক্ষী, জলাঙ্গী, পুরাতন খঞ্জর, আর্তনাদ, রাজপুরুষ, পিতৃপুরুষের পাপ।
রশীদ করিম (১৯২৫-২০১১) উত্তম পুরুষ, প্রসন্ন পাষাণ, আমার যত গ্লানি, প্রেম একটি লাল গোলাপ, সাধারণ লোকের কাহিনী, একালের রূপকথা, সোনার পাথর বাটি, বড়ই নিঃসঙ্গ, মায়ের কাছে যাচ্ছি, চিনি না, পদতলে রক্ত, লান্সবক্স ।
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস (১৯৪৩-১৯৯৭) চিলেকোঠার সেপাই, খোয়াব নামা
জহির রায়হান (১৯৩৫-১৯৭২) – শেষ বিকেলের মেয়ে, হাজার বছর ধরে, বরফ গলা নদী, আরেক ফাল্গুন, আর কতদিন, কয়েকটি মৃত্যু, তৃষ্ণা ।
ড. নীলিমা ইব্রাহিম (১৯২১-২০০২) বিশ শতকের মেয়ে, এক পথ দুই বাঁক, কেয়াবন সঞ্চরিণী, বহ্নিবলয় ।
আবু ইসহাক (১৯২৬-২০০৩) সূর্য দীঘল বাড়ী, পদ্মার পলিদ্বীপ, জাল ।
রোমেনা আফাজ— অভিশপ্ত, আলোর রশ্মি, উত্তালতরঙ্গ, কাগজের নৌকা, ভোরের সূর্য, হারানো মানিক, সাগর সৈকত, রূপালী পর্দা, সোনালী সন্ধ্যা, রঙ্গীয়া, দেশের মেয়ে ।
আনোয়ার পাশা (১৯২৮-১৯৭১) নীড় সন্ধানী, নিষুতি রাতের গাথা, রাইফেল রোটি আওরাত ।
ড. আলাউদ্দিন আল আজাদ (১৯৩২-২০০৯) তেইশ নম্বর তৈলচিত্র, শীতের শেষ রাত বসন্তের প্রথম দিন, ক্ষুধা ও আশা, কর্ণফুলী, খসড়া কাগজ, স্বাগতম ভালোবাসা ।
সৈয়দ শামসুল হক (১৯৩৫-২০১৬) দেয়ালের দেশে, নীল দংশন, স্মৃতিমেধ, মৃগয়ায় কালক্ষেপ, ত্রাহি, নিষিদ্ধ লোবান, খেলারাম খেলে যা, অন্য এক আলিঙ্গন, রাজার সুন্দরী ।
ড. রাজিয়া খান (১৯৩৬-২০১১) বটতলার উপন্যাস (১৯৫৯), অনুকল্প, প্রতিচিত্র, চিত্রকাব্য, হে মহাজীবন, দ্রৌপদী, পদাতিক ।
শওকত আলী (১৯৩৬-২০১৮) পিঙ্গল আকাশ, যাত্রা, প্রদোষে প্রাকৃতজন, অপেক্ষা, যেতে চাই, ওয়ারিশ, ত্রিপদী ।
আল মাহমুদ (১৯৩৬) ডাহুকী, উপমহাদেশ, কবি ও কোলাহল, পুরুষ সুন্দর, আগুনের মেয়ে, দিন যাপন, তুষের আগুন, নিশিন্দা নারী, যেভাবে বেড়ে উঠি, সে সুখ দুঃখের অধিক ।
হাসান আজিজুল হক (১৯৩৯) বৃত্তায়ন, শিউলি, আগুনপাখি, লাল ঘোড়া ও আমি (কিশোর উপন্যাস)
সেলিনা হোসেন (১৯৪৭) জলোচ্ছ্বাস, হাঙর নদী গ্রেনেড, যাপিত জীবন, চাঁদ বেনে, নিরন্তর ঘণ্টাধ্বনি, কাঁটাতারে প্রজাপতি, খুন ও ভালোবাসা, দীপান্বিতা, যুদ্ধ, পোকামাকড়ের ঘর বসতি, মগ্নচৈতন্যে শিস, পদশব্দ, মাটি ও শস্যের বুনন।
ড. হুমায়ুন আজাদ (১৯৪৭-২০০৪) ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল ১৯৯৪ (প্রথম) সবকিছু ভেঙ্গে পড়ে, মানুষ হিসেবে আমার অপরাধসমূহ, শুভব্রত, পাকসার জমিন সাদবাদ ।
হুমায়ূন আহমেদ (১৯৪৮-২০১২) দুইশতাধিক উপন্যাস লিখেছেন। নন্দিত নরকে (১৯৭২) প্রথম, শঙ্খনীল কারাগার, শ্যামল ছায়া, আগুনের পরশমনি, ১৯৭১, জোসনা ও জননীর গল্প, অমানুষ, ফেরা, দেয়াল, রূপা, শুভ্র, মহাপুরুষ, সাজঘর, কোথাও কেউ নেই, এইসব দিনরাত্রি, ময়ূরাক্ষী, কৃষ্ণপক্ষ, হিমু, মিসির আলীর চশমা, লীলাবতী, হিমুর হাতে পাঁচটি নীল পদ্ম, কুটুমিয়া, হিমুর নীলা জোছনা, তিন পুরুষ, অপরাহ্ণ ।
ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল (১৯৫২)
কিশোর উপন্যাস- হাতকাটা রবিন (১৯৮৬) প্রথম, দীপু নাম্বার টু, আমার বন্ধু রাশেদ, টি রেক্সের সন্ধানে, দুষ্টু ছেলের দল, জারুল চৌধুরীর মানিক জোড়, বুবনের বাবা ।