Ozymandias – Percy Bysshe Shelley – বাংলা অনুবাদ ও সারসংক্ষেপ


প্রথম স্তবক অনুবাদ করতে প্রয়োজনীয় Vocabulary:

antique land – পুরনো শাহর (এখানে Egyptian কোন শহরকে বুঝানো হয়েছে)

vast – মস্ত বড়

trunk –  স্তম্ভের খুঁটি বা ভিত্তি, যার উপরে ভর করে স্তম্ভ বা মূর্তি দাঁড়িয়ে থাকে।

trunkless – যে স্তম্ভের খুঁটি বা ভিত্তি নাই।

shattered- ধ্বংসপ্রাপ্ত , ছিন্নভিন্ন

visage – অবয়ব বা মুখমণ্ডল

frown – ভুরু কোঁচকানো ( চিন্তা বা বিরক্তি বা অপছন্দ প্রকাশক মুখের অভিব্যক্তি )

প্রথম স্তবকঃ

[Poem Source: POETRY FOUNDATION]

(i)আমার দেখা হয়েছিল পুরনো প্রাচ্চ একজন ভ্রমণকারীর সাথে

(ii)যিনি বলেছিলেন – মস্ত দুটি ভিত্তিহীন পাথরের পা

(iii)মরুভূমিতে দাঁড়িয়ে আছে, তাদের কাছে, বালির উপরে

(iv)অর্ধ নিমজ্জিত ছিন্নভিন্ন অবয়ব শায়িত, যার ভুরু কেচকান

[এখেন লেখক প্রাচীন মিশরের কোন এক শহর থেকে আগত একজন ভ্রমনকারীর সাথে দেখা করেন ।ভ্রমনকারীর বর্ণনায় –  এখানে একটি বিশাল পাথরের মূর্তি রয়েছে যা এখন ভেঙে পড়ছে। তিনি আরও বিশদভাবে বলেছেন যে – একসময়ের বিশাল মূর্তির অবশিষ্ট অংশ হিসেবে এখন দুটি বিশাল এবং বিশাল পা সেখানে দাঁড়িয়ে আছে। মূর্তির বেজ বা ভিত্তি (trunk) অনুপস্থিত কারণ এটি সময়ের সাথে সাথে ভেঙে গেছে এবং জরাজীর্ণ গেছে বলে মনে হচ্ছে। জায়গাটি একটি বালুকাময় মরুভূমি এবং মূর্তির মুখ বালিতে অর্ধেক ডুবে আছে।]

দ্বিতীয় স্তবক অনুবাদ করতে প্রয়োজনীয় Vocabulary:

wrinkles – বয়স কিংবা ছিন্তা মগ্নতার কারনে ফেস এ যে অবয়ব বা রেখা পরে

sneer – কোন কিছু বা করোর প্রতি একটি অবজ্ঞা সূচক মুখের ভঙ্গি .

cold – এখানে কবি ঠাণ্ডা বুঝায় নাই, এই কবিতায় cold মানে নিরাসক্ত বা নির্দয়

sneer cold command – এই দিয়ে কবি নির্দয় কঠোর ও বিদ্রূপপূর্ণ নির্দেশ কে বুঝিয়েছেন।

mock – ভেঙ্গান বা উপহাস করা (বিশেষ করে কারো বলা কথা পুনরায় ভেঙ্গিয়ে ভেঙ্গিয়ে বলা কে বুঝায়)

pedestal – ভিত্তি বা খুঁটি যার উপর একটি মূর্তি আটকানো বা দ্বারা করানো হয়

sculptor- ভাস্কর যিনি মূর্তি তৈরি করেন

stamped- চিহ্নিত করা বা খচিত করা।

fed – এখানে fed দিয়ে খায়ান বুঝায় নাই, এখানে fed মানে পূর্ণ করা

দ্বিতীয় স্তবকঃ

[Poem Source: POETRY FOUNDATION]

(i)এবং কুঞ্চিত ঠোট এবং অবজ্ঞাপূর্ণ উষ্ণ আদেশ

(ii)বলে যে এর ভাস্কর সেই আবেগ গুলো ভালোভাবে বুঝেছিলেন 

(iii)যা এখনো বেচে আছে , এই মৃত বিষয়গুলোর( মূর্তি কে বুঝিয়েছেন) উপরে খচিত

(iv)যে হাতটি তাদের( রাজাকে) উপহাস করেছে, এবং যে হৃদয়(ভাস্করের হৃদয়) পূর্ণ করেছে( উপহাসকে পূর্ণ করেছে)

[তারপরে ভ্রমণকারী সেই বিষয়গুলা বর্ণনা করেন যা এখনও মূর্তির মুখে প্রতিফলিত হয়। সময়ের সাথে সাথে রাজ্যের পতন এবং রাজার গৌরব ম্লান হওয়া সত্ত্বেও, পাথরের মুখে এখনো অহংকার অম্লান। এতে ভ্রুকুটি করা, কুঁচকে যাওয়া ঠোঁট, মুখে তিরস্কার ও বিদ্বেষপূর্ণ অভিব্যক্তি ছিল যা সেই রাজা (যে রাজার মূর্তি নিয়ে লেখক ও ভ্রমণকারী কথা বলছেন)গর্ব ও অহংকার প্রকাশ করে। 

এই মূর্তিটির ভাস্কর রাজার অহংকারী স্বভাবের কথা জানতেন। ভাস্কর মূর্তির উপর রাজার অনুভূতি এবং আবেগকে দক্ষতার সাথে ব্যাখ্যা করেছিলেন। যে ভাস্করের হাতে তার মূর্তি তৈরি হয়েছিল তার প্রতিও রাজার কোনো শ্রদ্ধা ছিল না।]

তৃতীয় স্তবক অনুবাদ করতে প্রয়োজনীয় Vocabulary:

ye – you or the(পুরনো ইংলিশ এ এভাবে বলা হত)

despair – ম্লান হয়ে যাওয়া

decay – ক্ষয় হওয়া বা কমে যাওয়া 

boundless – অসীম বা উন্মুক্ত

bare – খোলা বা যে জায়গায় কোন গাছ নাই

stretch – প্রসারিত হওয়া বা বিস্তৃত হওয়া

stretch far way – দূর দুরান্তে ছরিয়ে যাওয়া বা বিস্তৃত হওয়া

level – স্তর

colossal- বিশাল

Wreck- ধ্বংস বা বিনাশ

তৃতীয় স্তবকঃ

[Poem Source: POETRY FOUNDATION]

(i)এর ভিত্তির উপরে এই শব্দ গুলো দৃশ্যমান

(ii)আমার নাম Ozymandias, রাজাদের রাজা

(iii)আমার কর্ম গুলো দেখো, হে পরাক্রমশালী ও হতাশা

(iv)কনটাই পাশে নাই, ঘুরনিয়মান অবক্ষয়য়

(v)অই বিশাল ধ্বংস, সীমাহীন এবং মুক্ত

একাকীত্ব এবং বিস্তৃত বালির স্তর

[ এটি ছিল মিশরের একজন শাসকের মূর্তি – মহান রাজা রামেসিস । তার নাম ছিল Ozymandias। মূর্তিটি একটি পাথরের উপর স্থাপন করা হয়েছিল। সেখানে একটি শিলালিপি খোদাই করা ছিল যাতে লেখা ছিল “আমার নাম অজিমান্ডিয়াস, রাজাদের রাজা: আমার কাজগুলি দেখুন, হে পরাক্রমশালী এবং হতাশা!” এখানে এটি বুঝায় যে রাজা অহংকার, আত্ম-গুরুত্ব, অসারতায় পূর্ণ ছিলেন যা অন্য সকলকে তার সামনে খুব নীচু মনে করে। তার এই কথাগুলো পরাক্রমশালীদের চ্যালেঞ্জ করে এবং বলে যে কেউ যদি তার কাজকে ছাড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বা তার সাথে মেলানোর চেষ্টা করে, তবে সে ব্যক্তি কেবল হতাশা এবং হতাশার মধ্যেই শেষ হবে।

ভ্রমণকারী তারপর দেখায় যে তার গর্বিত শিলালিপি সত্ত্বেও সবকিছুই প্রকৃতির দ্বারা জয়ী এবং কিছুই অমর নয়। একসময়ের বিশাল ও বিশাল রাজ্য এখন বিলুপ্ত হয়ে গেছে। বিশাল রাজ্যের কিছুই অবশিষ্ট নেই এবং যতদূর দেখা যায় তা বালি। মহান রাজ্য এবং তার মহান রাজার পতন হয়েছিল। তার সময়কার সভ্যতা পরিণত হয়েছিল এক নির্জন অনুর্বর মরুভূমিতে। কিছুই গুরুত্বপূর্ণ নয় এবং সবকিছুই সময়কে ক্ষয় করতে হবে।]

কবিতার বিষয়বস্তু সংক্ষিপ্ত  আলোচনাঃ

কবিতার বক্তা এই বলে শুরু করেন যে তিনি একজন ভ্রমণকারীর সাথে দেখা করেছিলেন যিনি একটি প্রাচীন দেশে গিয়েছিলেন, যা এই ক্ষেত্রে মিশর। বক্তা বর্ণনা করেন যে ভ্রমণকারী তাকে সেখানে যে দর্শনীয় স্থানগুলি দেখেছিলেন সে সম্পর্কে তাকে যা বলেছিল। ভ্রমণকারী একটি পুরানো মূর্তির ধ্বংসাবশেষ দেখেছিল, এখন মরুভূমির মাঝখানে ভাঙা পড়ে আছে। মূর্তির একমাত্র জীবিত অংশ হল দুটি পা সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এবং একটি অর্ধ ডুবে যাওয়া মুখ। মূর্তিটির মুখে একটি ঠাণ্ডা, অহংকারী অভিব্যক্তি এবং একটি উপহাস রয়েছে। দেখে মনে হচ্ছিল যে ভাস্করটি মূর্তিটি তৈরি করেছিলেন তিনি তার মডেলের আবেগগুলি খুব ভালভাবে জানেন এবং সেগুলিকে চিরকালের জন্য সংরক্ষণ করার জন্য পাথরে স্থাপন করেছিলেন। মডেল বা ভাস্কর কেউই বেঁচে না থাকলেও মূর্তির মুখের অভিব্যক্তি প্রাণবন্ত। পাদদেশে, কয়েকটি লাইন খোদাই করা হয়েছে, যেন সেগুলি মূর্তির মডেল দ্বারা বলা হয়েছে। লাইনগুলি ঘোষণা করে যে মূর্তিটি ওজিমান্ডিয়াসের, যিনি সমস্ত রাজাদের মধ্যে সর্বশক্তিমান, এবং লোকেদের কেবল তার মূর্তিটি দেখে তাকে ভয় করা উচিত। চারিদিকে মরুভূমি, যতদূর চোখ যায় বালি বিছিয়ে আছে। যদিও মূর্তিটি লোকটিকে শক্তিশালী এবং অহংকারী হিসাবে দেখায়, এটি পরিহাস যে মূর্তিটি বালির মধ্যে পড়ে আছে, ভাঙা এবং ভুলে গেছে। কবিতাটি ক্ষমতার অস্থিরতাকে তুলে ধরে

কবিতার ছন্দ:

অষ্টক  – a b a b a c d c

ষটক – e d e f e f

Write Reply...