শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রকাশিত প্রথম গল্প ‘মন্দির’ (১৯০৩)। এই গল্পের জন্য তিনি কুন্তলীন পুরস্কার লাভ করেন। তাঁর রচিত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গল্প – মহেশ, অভাগীর স্বর্গ, বিলাসী, মামলার ফল, একাদশী বৈরাগী, কাশীনাথ ইত্যাদি ।
শ্রীকান্ত – এটি শরৎচন্দ্র রচিত চারখণ্ডের একটি উপন্যাস। এটি তাঁর আত্মজীবনীমূল উপন্যাস। রাজলক্ষ্মী, ইন্দ্ৰনাথ, অভয়া শ্রীকান্ত, প্রভৃতি এ উপন্যাসের চরিত্র। এ উপন্যাসে বর্ণিত ইন্দ্রনাথ চরিত্রটি বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কিশোর চরিত্র।
বড়দিদি (১৯০৭) – শরৎচন্দ্র রচিত প্রথম উপন্যাস। মাধবী (বড়দিদি), প্রমীলা, সুরেন্দ্রনাথ ব্রজরাজ এ উপন্যাসের চরিত্র।
পল্লীসমাজ (১৯১৬) বিশ্বেশ্বরী, বেণী, রমা, রমেশ, বলরাম এ উপন্যাসের চরিত্র। এটি লেখকের মূলত সমালোচনামূলক উপন্যাস। তৎকালীন সমাজের নানা জটিলতা, | অসঙ্গতি ও মানব-মানবীয় প্রণয় কাহিনি প্রভৃতি এতে চিত্রিত হয়েছে।
চরিত্রহীন (১৯১৭) – কিরণময়ী, দিবাকর, সতীশ, সাবিত্রী এ উপন্যাসের চরিত্র। রীতিবহির্ভূত প্রেম ও নর-নারীর সম্পর্কের নানা দিক এতে প্রতিফলিত হয়েছে।
গৃহদাহ (১৯২০) – এটি শরৎচন্দ্র রচিত ত্রিভুজ প্রেমের উপন্যাস। মহিম, সুরেশ ও অচলা এ উপন্যাসের প্রধান চরিত্র। অচলা ও মহিমের দাম্পত্য জীবনে সুরেশের অনাকাঙ্ক্ষিত উপস্থিতি ও হস্তক্ষেপ ও এর পরিণতি এ উপন্যাসের মূল উপজীব্য।
পথের দাবী (১৯২৬) – এটি শরৎচন্দ্র রচিত রাজনৈতিক উপন্যাস। বিপ্লবী সব্যসাচী ও তার সাথীরা এ উপন্যাসের চরিত্র। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রামকে উস্কে দেওয়ার অভিযোগে উপন্যাসটি বাজেয়াপ্ত হয়েছিল।
শরৎচন্দ্র রচিত অন্যান্য উপন্যাস দেবদাস, দত্তা, দেনাপাওনা, শেষপ্রশ্ন, শেষের পরিচয়, শুভদা, নিষ্কৃতি, পরিণীতা, অরক্ষণীয়া, বিরাজবৌ, বিপ্রদাস, পণ্ডিতমশাই, বামুনের মেয়ে, বৈকুণ্ঠের উইল, বিন্দুর ছেলে, রামের সুমতি, চন্দ্ৰনাথ ইত্যাদি।